নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে দিনে দিনে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা । সংক্রমণে সংক্রমিত হয়ে সেই ব্যাক্তি কোন না কোনভাবে অন্যকোন রোগীর সংস্পর্শে আসছেন । স্থানীয়দের অসাবধানতায় রাজশাহী জেলায় করোনা সামাজিকভাবে বিস্তার লাভ করছে । সরকারী স্বাস্থ্যবিধি না মানা, সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে অনেকটা অসচেতনভাবে চলাফেরায় গত ১০ দিনের ব্যবধানে আজ ১৭ জুন পযন্ত রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা ১৫৬ জন । যা ১০ দিন আগেও ছিল মাত্র ৭৭ জন । যা ভয়াবহ আকার ধরন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য ।
বুধবার সকালে দেয়া সিভিল সার্জনের হিসেবে জানা যায়, রাজশাহী জেলায় মোট শনাক্ত হওয়া ১৫৬ জন রোগীদের মধ্যে ৫৮জনই নগরীতে বা সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে বসবাস করছেন। যদিও রাজশাহীর দুইটি ল্যাব থেকে পাওয়া তথ্য বলছে এই সংখ্যা আরো বেশি। রাজশাহী জেলায় মোট শনাক্তের সিংহভাগ বাসিন্দা রাজশাহী নগরীর সাথে সংযুক্ত । সিভিল সার্জনের হিসাবে জেলায় মোট শনাক্তের এক তৃতীয়াংশ রোগীর অবস্থায় রাজশাহী নগরীতে ।
এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার কর্মস্থল থেকে শনাক্ত হওয়া রোগীদের অনেকেরই বসবাস এই নগরীতেই। আর সেই শনাক্ত হওয়া রোগীদেরকে দেখান হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার হিসবে। আবার জেলা পুলিশ ও পুলিশ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আবাসও এই নগরীতেই। সিভিল সার্জনের হিসেবে এদের অনেককেই নগরীর রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল পুঠিায় উপজেলায়। আর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রথম শনাক্ত হয় ১৫ মে উপর ভদ্রা এলাকয়।
নগরীতে ১৫ মে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় উপর ভদ্রা এলাকার এক গৃহিনী। পরবর্তিতে তারা স্বামী ও কণ্যাসহ স্বপরিবারে আক্রান্ত হন। নিয়ম মেনে হোম আইসোলেশনে থেকে ১৪ দিন পর তদের সকলেই সুস্থ হয়েছেন।
রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে মোহনপুরে ১৮ জন, তানোরে ১৭ জন, চারঘাটে ১৪জন, বাঘায় ১২, পুঠিয়ায় ১১, বাগমারায় ১১, পবায় ৯ দুর্গাপুরে ৫ আর গোদাগাড়ীতে মাত্র ১জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের অধিকাংশই বাড়িতেই আসোলেশনে আছেন।