হ্যারি মেগানের ইচ্ছার প্রতি রানির সমর্থন

আভা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ‘সিনিয়র রয়্যাল’-এর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সাড়াই দিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ।

ঘোষণার পর সোমবার বৈঠকে রানি জানালেন, তাদের ইচ্ছার প্রতি তার ‘পুরোপুরি সমর্থন’ রয়েছে। কিন্তু রানি মনে করেন, তারা রাজপরিবারে থেকে গেলেই বেশি ভালো হতো। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

রানি জানান, হ্যারি ও মেগান এবার কানাডা ও ব্রিটেনে সময় ভাগ করে থাকবেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৯৩ বছরের রানি।

রানির সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগে হ্যারি এবং তার বড় ভাই রাজকুমার উইলিয়াম আবারও জানান, তাদের মধ্যে কোনো রকম দ্বন্দ্ব নেই।

ব্রিটেনের একটি পত্রিকায় সোমবার দাবি করেছে, মেগান আর হ্যারি নাকি বলেছেন– উইলিয়াম তাদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছেন। এই প্রতিবেদনের ভাষা ব্যবহার নিয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন দুই ভাই-ই।

অবশেষে মা প্রিন্সেস ডায়ানার পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও তার মার্কিন স্ত্রী মেগান মার্কেল। রাজপরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তাদের এ সিদ্ধান্তে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তোলপাড় অবস্থা।

রানির ‘অবাধ্য’ হয়ে রাজপরিবারে তারা যে সংকট তৈরি করেছেন তা ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে আলোচনার ঝড় তুলেছে।

বিশ্বের প্রাচীন রাজপরিবার আধুনিক ব্রিটেনের বহুজাতিক সংস্কৃতির রূপান্তরের সঙ্গে কতটা তাল মেলাতে পারছে, এটি হচ্ছে সেই পরীক্ষারই একটি স্মারক।

নবতিপর রানি এলিজাবেথ তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসে পুরো রাজপরিবার।

রানির সান্দ্রিংহাম এস্টেটে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রানি এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্স হ্যারি যোগ দেন। রাজপরিবারের হ্যারি ও মেগানের উপাধি ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাচেক্স। এ সপ্তাহে তারা ঘোষণা দিয়েছেন– রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তারা।

ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়, তারা স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন করতে চান এবং ব্রিটেনের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকাতেও বসবাস করতে চান।

ওই ঘোষণার পরই বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, রাজপরিবার থেকে হ্যারি ও মেগানের সরে যাওয়ার বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে।

ব্রিটিশ সিংহাসনে উত্তরাধিকারের ধারায় হ্যারি আছেন ষষ্ঠ অবস্থানে। হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান বুধবার রাতে তাদের রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে আনার ঘোষণা যতটা আকস্মিক বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল, বিষয়টি ততটা চকিত ছিল না। রাজপরিবার থেকে পদত্যাগের সুযোগ থাকলে তারা হয়তো আগেই তা করতেন।

হ্যারির এ সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কী, তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা আছে। এমন কথাও চালু আছে যে, বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে সম্প্রতি তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হ্যারি ও মেগান আলাদা দাতব্য প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নেয়াতেই এ বিরোধের ধারণা কিছুটা বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।

উইলিয়ামের দাতব্য সংস্থা যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে অংশ নিয়ে থাকে। হ্যারি যেটি প্রতিষ্ঠা করছেন, সেটি কাজ করবে আন্তর্জাতিক পরিসরে, বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেমনটি তার মা করতেন।

যুগান্তর

Next Post

বন্দর, জাহাজ নির্মাণ এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে আমিরাতকে আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী ।

মঙ্গল জানু. ১৪ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বন্দর, জাহাজ নির্মাণ এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে দুবাই ভিত্তিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসসের। সোমবার ডিপি ওয়ার্ল্ডসহ ইউএই’র কোম্পানিগুলোর একটি প্রতিনিধিদল শাংগ্রি-লা হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি বন্দর, […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links