আভা ডেস্কঃ শুধু নামেই নয়, সুন্দর চেহারার অধিকারীও পরী বেগম (২৮)। আর সুন্দর চোখের চাহনি দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কখনও পুরুষ, কখনও গ্রামের অবলা দরিদ্র অসহায় নারী ও কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে নিজের ইচ্ছামাফিক অর্থ আদায় করাই হল এই পরীর কাজ।
আর উঠতি বয়সের যুবক, চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ সবাইকে ফেসবুকে চ্যাটিং বা মোবাইল ফোনে কথা বলে ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে ফোনে কথা বলে রুমমেট করার ফাঁদে ফেলে শিকার ধরত ওই ‘সুন্দরী পরী’। তার মনভোলানো কথায় বহু মানুষ পা দিতেন ভয়াবহ ফাঁদে।
কিন্তু এ ফাঁদ যে কত ভয়ংকর তা যখন টের পেতেন তখন কিছুই করার আর থাকত না। তার এসব অপকর্মকে শেল্টার দেয়ার জন্য রয়েছে রামগঞ্জে অঘোষিত একটি সিন্ডিকেট। যার ফলশ্রুতিতে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এটা কাল্পনিক কোনো জিন-পরীর গল্প নয়, এটা হচ্ছে রামগঞ্জের এক প্রতারক পরী বেগমের কথা।
ওই পরী বেগমের নানা প্রতারণার খবর এখন টক অব দ্য রামগঞ্জে পরিণত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরী বেগম রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দনপুর গ্রামের ইম্মত আলী ভূঁইয়া বাড়ির আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। স্বামী রাজমিস্ত্রি আলমগীর বেশ কয়েকবার স্ত্রীর বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে হেনস্থা হয়েছেন।
পরী বেগম সম্প্রতি রামগঞ্জ পৌরসভার সাতারপাড়া গ্রামের মিয়া বাড়ির জেসমিন আক্তারের কাছ থেকে ৩ হাজার, সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে ৮ হাজার, একই গ্রামের মিয়ার বাড়ির সোহাগী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার, নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে ৩০ হাজার, সুমা আক্তারের কাছ থেকে ৭ হাজার, আকলিমা আক্তারের কাছ থেকে ৭ হাজার, বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে ৬ হাজারসহ পার্শ্ববর্তী আবদুল করিম বেপারী বাড়ি, জয়নাল আবেদিন বেপারী বাড়িসহ অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা ও নতুন ঘর করে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই প্রতারক পরী বেগম। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরী বেগম জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। আমাকে নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো কিছু সমাধান হয়েছে। বাকিগুলো সমাধানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে লেখালেখির কোনো দরকার নেই।
যুগান্তর