আভা ডেস্কঃ ভারতের গৌহাটিতে বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা কীভাবে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ৫১তম বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। শেষ হবে কাল শনিবার। বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ওপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বিদ্যমান পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখা ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। উভয় পক্ষই আগে অবগত করা ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করা এবং বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
সম্মেলনে বিজিবি’র মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সব সময় দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের প্রশংসা করে। তারা প্রত্যাশা করে যে, বিজিবি এবং বিএসএফ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং অপরাধীদের হত্যার পরিবর্তে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
অদূর ভবিষ্যতে সীমান্তে হত্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফের মহাপরিচালক।
উভয় পক্ষই সীমান্তে জনসচেতনতা কর্মসূচি জোরদারকরণ, দুর্গম অঞ্চলে যথাযথ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে সম্মত হয়েছে।
সম্মেলনে বিজিবি’র মহাপরিচালক সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।