সাবরিনা সাহেদের উত্থান সরকারের ছত্রছায়ায়, রিজভী ।

আভা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ ভাইরাস টেস্ট পরীক্ষার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর উত্থানে সরকারের ছত্রছায়া দেখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, এই সরকারের কারণেই সাহেদ-সাবরিনাদের উত্থান,দৌরাত্ম।

‘মানুষ মরে মরুক, আমি তো ঠিক আছি, জনগণ চুলায় যাক, আমি তো ঠিক আছি- এটা হচ্ছে এই সরকারের নীতি। এই নীতির কারণেই আজকে সাহেদের উত্থান হয়েছে, সাবরিনাদের উত্থান হয়েছে’-যোগ করেন রিজভী।

পাচারের অভিযোগে বিদেশে গ্রেফতার হওয়া সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একজন পাপুল ধরা পড়ল। এরকম গত ১২ বছরে কত পাপুল তৈরি হয়েছে এটা আমরা বলতে পারব না। এই দূরাচার দুর্বৃত্তমূলক শাসন ব্যবস্থায় পাপুলরাই প্রতিষ্ঠিত হবে, তারাই এমপি হবে, তাদের পক্ষেই রাষ্ট্র থাকবে। এই নীতিতে আজকে রাষ্ট্র চলে বলেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এক ভয়ংকর মরণঘাতী বেষ্টনির মধ্যে দেশের মানুষ বন্দি হয়ে আছে।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আজকে হাসপাতালে আইসিইউ নেই, বেড নেই, ভেন্টিলেটর নেই, হাসপাতালে মাস্ক নেই। আর নকল মাস্ক নিয়ে এসেছে। তার সঙ্গে কে জড়িত? মন্ত্রীর ছেলে। ভেন্টিলেটর এখন এই মুহূর্তে জীবন বাঁচানোর একটি অন্যতম সরঞ্জাম। সেটি আমদানি করতে একে তো আওয়ামী সিন্ডিকেট তার উপরে মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনেরা। তাহলে কি করে মানুষ বাঁচবে? মানুষ বাঁচানোর কোনো জায়গা তারা রাখবে না।

‘আক্রান্ত রোগী রাস্তায় মরছে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মরছে। সরকারি হাসপাতাল সেগুলো নরকে পরিণত হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালের একজন রোগী আমাকে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ভাই আমার ৯ লাখ টাকা বিল হয়েছে। আমি বাঁচার জন্য এসেছিলাম আমিসহ পরিবারের দুই-একজন,৯ লাখ টাকা বিল হয়েছে। এই হচ্ছে সরকার।’

শিক্ষায় প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দাবি টিউশন ফি কমাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মহোদয় আপনি তো অনেক প্রণোদনা দিলেন অনেককে। কিন্তু এটা কি খুব অন্যায় দাবি? শুধু ইংরেজি স্কুল নয়, আজকে দেশের সব স্কুল-মাদ্রাসায় টিউশন ফি একেবারে বাতিল করে দিতে পারেন। এটাই ছিল সবচাইতে মানবিক কাজ এই মুহূর্তে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য বিএনপির তরুণদেরকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গুম করা হয়, স্বীকার করা হয় না। সবাই দেখেছে যে, টিটো হায়দারকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে লোকজন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জাল সনদ বিক্রি, অর্থ ও মানব পাচার এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে এই মানবন্ধন হয়।

এতে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর দুই শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দক্ষিণের সভাপতি ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দলের নেতারা।

সুত্রঃ যুগান্তর

Next Post

নন্দীগ্রামে স্ত্রী-শ্বাশুড়ীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় জামাই রক্তাক্ত

শুক্র জুলাই ১৭ , ২০২০
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৭ ই জুলাই আনুমানিক পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের গুন্দইল গ্রামে স্ত্রী-শ্বাশুড়ীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রী-শ্বাশুড়ী ও পরকীয়া প্রেমিক মিলে ঘর জামাই শ্রী বিকাশ (৩৫) কে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিকাশের গ্রামের বাড়ী বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links