সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভিপি নুর

আভা ডেস্কঃ সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর। নুর বলেছেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে নাগরিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।করোনাকালে যাদের প্রাণ চলে গেছে, এটাকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়। যার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্য সময়ের চেয়ে করোনাকালীন সময়ে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন ভিপি নুর।তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে মাদ্রাসা ও ইসলামি মাইন্ডের মানুষদের বেশি গুম করা হচ্ছে। এটার কারণ আমরা বলতে পারছি না। প্রত্যেকটি গুম-খুনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাহিনী জড়িত। যদি রাষ্ট্রীয় বাহিনী জড়িত না থাকে তাহলে তারা খুঁজে বের করুক এই গুম কারা করেছে। তাদের তো এটা দায়িত্ব।

সজীব গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক হত্যা এবং সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ ‘নাগরিক সংবাদ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।

উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা বড় ট্রাজেডি ঘটার আগে কেউ দেখে না। যখন খবর এসে যায় তখন আমাদের সরকার বলে ওমুকের দোষ, তমুকের দোষ। একজন আরেকজনকে দুষছেন।

নারায়ণগঞ্জের রুপঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের কতজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে তা যথাযতভাবে প্রকাশ করা দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বলা হচ্ছে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডিএনএ ও অন্যান্য আলামত দেখে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি সেখানে আরও অনেক বেশি শ্রমিক মারা গেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মৃত শ্রমিকের শ্রমিকের পরিবারের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের একটা মানদণ্ড তৈরির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণের যে মানদণ্ড আছে তা পরিবর্তন হওয়া দরকার। ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হবে কোনো শ্রমিক যদি কর্মক্ষেত্রে মারা যান তাহলে তার এক জীবনের আয়ের সমান। মৃত্যুকালীন বয়স থেকে স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে সময়কাল পর্যন্ত শ্রমিকের সম্ভাব্য যে আয় সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

Next Post

দূর্গাপুরে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু

বুধ জুলাই ১৪ , ২০২১
সোহান, দূর্গাপুর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দূর্গাপুরে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে প্রান হারালেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে দূর্গাপুর উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে। জানা যায়, মৃত ব্যক্তি বখতিয়ারপুর দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নাম মোঃ রবিউল (২৭)। বাবা মৃতঃ সোবহান। স্থানিয়রা জানায়, আনুমানিক মাগরিবের আজানের ১০ মিনিট পূর্বে রবিউল মোটর সাইকেল চালিয়ে শশুর বাড়ি […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links