সন্ত্রাসবাদীরাও আটক করে পুলিশকর্মীদের পরিবারের কিছু সদস্যকে

আভা ডেস্ক : পুলিশ বাহিনীর মনোবল অক্ষুণ্ন রাখতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশকর্তারা সন্ত্রাসবাদীদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তি দিয়েছে। ঘটনাটা ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ কাশ্মীরে গত বুধবার এক ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীরা পুলিশের চার কর্মীকে হত্যা করে। অপরাধীদের ধরতে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুলগাম, সোপিয়ান ও পুলওয়ামা জেলায় তল্লাশি চালানো হয়। সে সময় কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয় এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন হিজবুল মুজাহিদ্দিন গোষ্ঠীর স্বঘোষিত কমান্ডার রিয়াজ নাইকুর বাবা আসাদুল্লাহ নাইকু। এর পাল্টা হিসেবে সন্ত্রাসবাদীরাও আটক করে পুলিশকর্মীদের পরিবারের কিছু সদস্যকে। বাহিনীর মনোবল অটুট রাখতে এবং পুলিশের কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ছাড়াতে শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের পরিবারের আটক ১১জন সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক শীষপল বৈদ গত বছর বলেছিলেন, পুলিশকর্মীদের পরিবারের লোকজনের ওপর অত্যাচার করলে সন্ত্রাসবাদীদের পরিবারও ছাড় পাবে না। ওই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ধরতে পরিবারের লোকজনকে আটক করা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই প্রথম পাল্টা চাল চেলে সন্ত্রাসবাদীরাও পুলিশ কর্মীদের পরিবারের লোকজনকে আটক করে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তি আদায় করে নিল। এবং সেটা বলেকয়েই করা। হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু ‘চোখের বদলে চোখ’ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তার পরেই অপহরণ করা হয় পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের।

কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সূত্রপাতও ঘটেছিল এ ধরনের অপহরণের মধ্য দিয়ে। ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন কাশ্মীরের সাবেক কংগ্রেস নেতা মুফতি মহম্মদ সঈদ। তাঁর কন্যা মেডিকেল ছাত্রী রুবাইয়াকে সন্ত্রাসবাদীরা অপহরণ করেছিল। তাদের দাবি ছিল, রাজ্যে আটক চার সন্ত্রাসবাদী নেতার মুক্তি। মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে বাধ্য করা হয়েছিল সেই দাবি মানতে।

কাশ্মীর ভারতের অঙ্গরাজ্য হলেও সংবিধান এই রাজ্যকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা ও মর্যাদা দিয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারায় তা লিপিবদ্ধ। কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা কারা, সংবিধানের ৩৫ (ক) ধারা তা নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে রাজ্যের বিধানসভাকে। একমাত্র স্থায়ী বাসিন্দারাই বিশেষ অধিকার পাওয়ার যোগ্য। ওই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দিল্লির বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। মামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। প্রতিরোধ সর্বত্র। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তিরা উপত্যকায় বিভিন্ন সময় বনধও পালন করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার শুনানি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ভারত সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল এক আবেদনে বলেন, ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট চলবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখা হোক। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রসহ তিন বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের আর্জি মেনে নেন।
প্রথমআলো

Next Post

এশিয়ান গেমসের ‘মহাসমুদ্রে’ ছোট্ট আলিকা নভেরি কেমন ‘সাঁতার’ কাটল?

শনি সেপ্টে. ১ , ২০১৮
আভা ডেস্ক : ১৮ তম এশিয়ান গেমসের আয়োজক ইন্দোনেশিয়া দলে জায়গা পেয়েছে আলিকা নভেরি। ১৮ আগস্ট গেমস শুরুর দিন বয়স ছিল ৯ বছর ১৩৬ দিন! এশিয়ান গেমসের ‘মহাসমুদ্রে’ ছোট্ট আলিকা নভেরি কেমন ‘সাঁতার’ কাটল? মাত্র ৯ বছরের একটি মেয়ে কীই-বা আর ‘সাঁতার’ কাটবে! তার তো কিছু বুঝে ওঠারই বয়স হয়নি। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links