রোকেয়া হলে আলু-পেঁপে খেয়ে অতিষ্ঠ ছাত্রীরা

রাবি, প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, সান্ধ্য আইন বাতিলসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রোকেয়া হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- সান্ধ্য আইন বাতিল, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি, ক্যান্টিনের অব্যবস্থাপনার সমাধান, অতিথি এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হলে আসার অনুমতি ও অন্য হলের মেয়েদের বাধা না দেওয়া, ওয়াইফাই সমস্যার সমাধান, হলের চারপাশ মাঠ এবং ওয়াশরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশা-মাছি নিধনের ব্যবস্থা, হলের কর্মচারীদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে থাকার অনুমতি, রিডিং রুমের সার্বিক সমস্যার সমাধান ও গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য রান্নাঘরের ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। অথচ খাবারের মান দিন হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিদিন আলু আর পেঁপে খেতে খেতে অতিষ্ঠ হলের ছাত্রীরা। হল প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। হলের ওয়াইফাই ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিমাসে ইন্টারনেটের বিল দিয়েও সেবা পাচ্ছেন না তারা।

তারা অভিযোগ করেন, কোনো অতিথি এলে তাদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সন্ধ্যা ৭টার পরে কেউ হলে ঢুকতে গেলে কর্মচারীরা খারাপ ব্যবহার করেন। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিস্কার থাকায় মশা-মাছি বেড়েই চলেছে। অনতিবিলম্বে এসব দাবি না মানলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ‘সান্ধ্য আইন মানি না’, ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন?’, ‘মা-বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের একপর্যায়ে সেখানে আসেন ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর ও প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী। তারা শিক্ষার্থীদের সমস্যা শুনে সমাধানের জন্য কয়েকদিন সময় দিতে বলেন।

তবে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। পরে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে তারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

বৈঠক শেষে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়ন্তী রানী বসাক বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি জানিয়েছেন। সেগুলোর কয়েকটি হল প্রশাসন সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কিছু দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।

আলোচনার জন্য প্রশাসন তিনদিন সময় নিয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর বিকেলে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান হলের হলের প্রাধ্যক্ষ।

Next Post

শার্শায় নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম ও অফিস ভাংচুর

শনি নভে. ২০ , ২০২১
মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী বাজারে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক কর্তৃক স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনারস মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কর্মী সমর্থকের উপর মারপিটের উঠেছে। একই সাথে সম্বন্ধকাঠি মোড়ের মেম্বর পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলামের নির্বাচনী অফিসটিও ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব আয়নাল হকের কর্মী […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links