রিফাত হত্যাকান্ডঃ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কায্য শুরু করেছেন আদালত।

আভা ডেস্কঃ বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। বুধবার রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেছেন আদালত।

এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ সংসারের হাল ধরতে মেয়ের চাকরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। আদালতে উপস্থিত ৯ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আসামি মো. মুসা পলাতক।

এদিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ৯ আসামির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্যর দিন ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি বরগুনা শিশু আদালতে অভিযোগ গঠন করা হবে।

বছরের প্রথমদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা কারাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় আট আসামিকে জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিও আদালতে হাজির হন। আসামিদের বিরুদ্ধে এক এক করে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

অপরদিকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা। আসামি আল কাইয়ূম রাব্বি আকনের পক্ষে তার আইনজীবী মো. হুমায়ূন কবির জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। আদালতে তাদের অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ূম রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান টিকটক হৃদয়, মো. হাসান. মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল হাসান রাব্বি ও কামরুল ইসলাম সায়মুন।

৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলা ২০১৯ সালের অন্যতম আলোচিত হত্যা মামলা। দ্রুততম সময়ে এ মামলার নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। ৮ জানুয়ারি মামলার বাদী রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল সাক্ষ্য দেবেন।

আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম যুগান্তরকে বলেন, মিন্নি নির্দোষ। এ মামলায় তিনি সাক্ষী ছিলেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল আদালত প্রাঙ্গণে যুগান্তরকে বলেন, ‘ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দেখতে চাই। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পর আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমার হার্টে রিং বসানো হয়েছে। আমার আয়ের উৎস নেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আমি বহুবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো সুযোগ পাইনি। আমার একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান মৌ বরগুনা কলেজে অনার্সে পড়াশোনা করছে। আমার মেয়েকে যোগ্যতা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী একটি চাকরি দিলে আমার সংসারটি কোনো রকম চলে যেত।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওইদিন বিকালে রিফাত শরীফ মারা যান। একই রাতে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং ৪-৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন।

প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মিন্নিসহ ১৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে ১৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

যুগান্তর

Next Post

দুর্নামের একটা ধারা ছাত্রলীগের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ।

বৃহস্পতি জানু. ২ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নামের একটা ধারা ছাত্রলীগের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ছাত্রলীগকে আবার সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে, এটা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সূচনাপর্বে তিনি এসব কথা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links