রায়ের আগেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে রাবি প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলার রায়ের আগেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার উপাচার্যের বাসভবনস্থ দপ্তরে ভাইভা বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ আগামী ২৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ভাইভা বোডের্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, ২৪ জানুয়ারি তারিখ শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড বসার কথা ছিল কিন্তু পরে তা স্থগিত করে আগামী ২৬ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই এই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কমিটির অধিকাংশ সদস্য। তারা বলছেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আর নিয়োগ দিতে পারবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রায়ের পূর্বে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তোড়জোড় করছে।

মামলার চূড়ান্ত রায়ের আগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ মন্তব্য করে মামলার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি মামলার শুনানী শেষে ২৭ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছেন আদালতের রায়ের পূর্বে প্রশাসন যেন কোনোকিছু প্রসিড না করে। আর প্রসিড করলে আদালত তার আইনানুযায়ী পানিশমেন্টের (শাস্তি) ব্যবস্থা করবেন। এখন প্রশাসন নিয়োগ দিলে সেটি আদালতবিরোধী হবে। আমরা মামলার রায়ের দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ই নভেম্বর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দীনের আমলে তিনটি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। পরবর্তীতে বতর্মান প্রশাসন চলতি বছরের ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে পুনঃরায় প্রকাশ করে। এতে ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। নতুন করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর।

রিটের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার বিবাদী রাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কৃষি অনুষদের ডিন, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ ও প্ল্যানিং কমিটির সভাপতিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেন বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে আদালতকে ফাঁকি দিয়ে ‘অর্থের বিনিময়ে’ নিয়োগ দিতে প্রশাসন তৎপর বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী অধ্যাপক আলী আসগর। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন টাকার কাছে নত। তারা আদালতকে অমান্য করে নিয়োগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। নিয়োগ দিতে পারলে তাদের আর্থিক উপার্জন হবে সেজন্য এমনটি করছে।

Next Post

পাবনায় আন্তঃজেলা অপহরণকারী ও ডাকাতদলের সাতজন সদস্য গ্রেপ্তার

রবি জানু. ২৬ , ২০২০
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা অপহরণকারী ও ডাকাতদলের সাতজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত দুইটার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- বেড়া উপজেলার জোড়দহ গ্রামের রিফাত সর্দার, একই গ্রামের নজরুল ইসলাম, বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের সজিব হোসেন, একই গ্রামের শুভ হোসেন, সানিলা শাহপাড়া গ্রামের […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links