রাসিক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর অবকাঠামো উন্নয়নে ২৯৩১ দশমিক ৬২ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অভিনন্দন জানিয়ে বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে আজ বুধবার সকালে আয়োজিত র‌্যালিটি মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে নেতৃত্বে দেন মেয়রপত্নী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী ও কাউন্সিলরবৃন্দ।

বুধবার সকালে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি নগরভবনের সামনে এসে জড়ো হয়। এরপর নগর ভবনের সামনে থেকে সকলের অংশগ্রহণে বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালির সামনে জাতীয় পতাকা ও রাসিকের পতাকা উন্মুক্তভাবে মেলে ধরা হয় ।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তা সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে র‌্যালিতে ছিল সাধারণ নগরবাসী । র‌্যালিতে ছিল ঐতিহ্যবাহী টমটম ও সুসজ্জিত গাড়ি। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ছোট ছোট পতাকা। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা রঙিন সাজে সজ্জিত হয়ে ব্যান্ড দলের বাদ্যের তালে তালে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেন।

বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি নগর ভবন হতে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চত্বর হয়ে নিউ মার্কেটের সমানে দিয়ে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে কুমারপাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঘুরে আরডিএ মার্কেটের সামনে দিয়ে রাজশাহী কলেজ মোড় হয়ে রানীবাজার হয়ে পুনরায় নগরভবনে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে নগরভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। র‌্যালি ও সভা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কে অভিনন্দন জানানো হয় । প্রধানমন্ত্রী  রাজশাহীবাসীর জন্য মুজিববর্ষের সেরা উপহার দিয়েছেন বলে উল্লেখ্য করে বক্তারা বলেন, ২৯৩১ দশমিক ৬২ কোটি টাকা সমগ্র নগর উন্নয়নে ঢেলে সাজানোর জন্য যথেষ্ঠ। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে রাসিক মেয়রের এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অভিনন্দন জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাসিক'র আনন্দ র‌্যালি

আনন্দ র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন রাসিক মেয়রপত্নী সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউন নবী দুদু, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার, কাউন্সিলদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, রুহুল আমিন, মোঃকামরুজ্জামান, মোঃ নূরুজ্জামান, মতিউর রহমান, এসএম মাহবুবুল হক, আব্বাস আলী সরদার, আব্দুল মমিন, আনোয়ার হোসেন, আব্দুস সোবহান, বেলাল আহমেদ, শাহাদত আলী শাহু, শহিদুল হক, তৌহিদুল হক সুমন, রবিউল ইসলাম, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, আরমান আলী, তরিকুল আলম পল্টু, আনোয়ারুল আমিন, আশরাফুল হাসান, শহিদুল ইসলাম পিন্টু, জোন কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, মুসলিমা বেগম বেলী, শিরিন আরা খাতুন, শামসুন নাহার, মাজেদা বেগম, উম্মে সালমা, নাদিরা বেগম, লাইলি বেগম, সুলতানা রাজিয়া, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আকতার জাহান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ রাসিকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিডিসির সদস্যবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি অনুমোদন প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মহানগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো রাজশাহীর চিত্রই বদলে যাবে, মহানগরীর আরো উন্নত, আধুনিক, বাসযোগ্য, তিলোত্তমা মহানগরীতে পরিণত হবে। ২৯৩১ দশমিক ৬২ কোটি টাকার রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ভৌত অবকাঠামোসমূহের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা এবং নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রণীত প্রকল্পটির আওতায় ৫০১.৭৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ/উন্নয়ন, সকল রাস্তায় পানি নিষ্কাশনে ৩৫৬.১৮ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ, মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৪১.৯২ কিলোমিটার ফুটপাত ও ৬২.০৭ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মহানগরীর ১৯টি সরকারি খাস প্রাকৃতিক জলাশয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন করে বিনোদন পার্কের আদলে নির্মাণ, মহানগরীতে ১৫টি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণ, ৪৩টি কবরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন, ৪টি বিনোদন পার্কের উন্নয়ন এবং সিটি বাইপাস মোড় ও ভদ্রা স্মৃতি অম্ল্যান-এ সৌন্দর্য্যবর্ধক কাঠামো নির্মাণ করা হবে।

৪টি ওয়ার্ড কার্যালয়, তেরখাদিয়ায় শেখ কামাল সিটি কনভেনশন হল, ধর্মসভার অবশিষ্টাংশ এবং ৪টি কাঁচা বাজার নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ্যানেক্স ভবন ১০তলায় সম্প্রসারণ, ৫০ স্কুলে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতি এবং ভাষা শহীদ মিনার নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ ৮টি রেলক্রসিং-এ ফ্লাইওভার নির্মাণ, সিটি গ্যারেজ সম্প্রসারণ, জনসাধারণের নিরাপদ পারাপারের জন্য ১০টি ফুটওভার ব্রীজ, ৩০টি যাত্রী ছাউনি ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ল্যান্ডস্কেপিং কাজ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত আছে। সর্বশেষ প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক সড়ক যন্ত্রপাতি, এ্যাম্বুলেন্স, ২টি লাশ পরিবহন ভ্যান এবং শিশু পার্কের জন্য ১৬ সেট গেমস ক্রয় করা হবে। এছাড়া ব্রীজ নির্মাণ, সড়ক আলোকায়ন, যানবাহন ক্রয় ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Next Post

২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই, ডিএমপি কমিশনার ।

বুধ ফেব্রু. ১৯ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ মিনারের বেদীকেন্দ্রিক প্রথম স্তর, শহীদ মিনারের বাইরে দ্বিতীয় স্তর, দোয়েল চত্বর-শাহবাগ-নীলক্ষেত-পলাশী-বকশীবাজার কেন্দ্রিক তৃতীয় স্তর ও এর বাইরে আরেক স্তর। বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সার্বিক […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links