রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে গম কিনবেন সরকার, ব্যয় ২৯৮ কোটি

আভা ডেস্কঃ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে এক লাখ মেট্টিক টন গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য ব্যয় হবে ২৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জিটুজি পদ্ধতির আওতায় গম কেনার জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ান ফেডারেশনের ফরেন ইকোনমিক করপোরেশনের  (এফইসি) সঙ্গে নেগোসিয়েশন সভায় মিলিত হয়। সভায় জিটুজি ভিত্তিতে গম আমদানির চুক্তির শর্ত এবং দাম নিয়ে আলোচনা হয়।  সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে এক লাখ মেট্টিক টন গম প্রতি মেট্রিক টন সিআইএফ- এলও (কস্ট ইন্স্যুরেন্স-ফ্রেইট লাইনার আউট) টার্মে ৩৫২ মার্কিন ডলার দরে আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং উভয়পক্ষ সভায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।

গমের প্রস্তাবিত দর খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির আওতায় সর্বশেষ ক্রয় দর ৩৫২.৯৮ মার্কিন ডলার/মেট্টিক টনের চেয়ে ০.৯৮ মার্কিন ডলার কম। এছাড়া রাশিয়ান সরকার কর্তৃক গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ইউরো/মেট্রিক টন এবং আগামী পয়লা মার্চ থেকে ৫০ ইউরো/ মেট্রিক টন গম রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতি মেট্রিক টন গম ৩৫২ মার্কিন ডলার হিসেবে কেনার  প্রস্তাব সুপারিশ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চাহিদা অনুযায়ী গম উৎপাদন ও আমদানির সার্বিক চিত্র, ২০২০-২০২১ অর্থবছর গম উৎপদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। সংশোধিত চাহিদা ছিল ৫ লাখ ৯০ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন।  গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৪ মেট্রিক টন।  ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বিতরণের জন্য অবশিষ্ট রয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৪ মেট্রিক টন।  আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নিরাপত্তা মজুত রাখতে হবে ২ লাখ টন।  ৩০ জুন পর্যন্ত মোট চাহিদা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৪ , বর্তমান মজুত  ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন, আহ্বানকৃত টেন্ডার ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং  আরও প্রয়োজন হবে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ মেট্রিক টন।

সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য দেশের গমের চাহিদা ও মজুত পরিস্থিতি এবং বর্তমান করোনার বিষয় বিবেচনা করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে গম কেনা জরুরি।

উল্লেখ্য, রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এক লাখ মেট্টিক টন গম কেনার লক্ষ্যে পিপিআর এর ৭৬ (২) বিধিতে উল্লেখিত দাম সীমা অতিক্রমের বিষয়ে বগত ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র নীতিগত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।  পরবর্তীতে ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হলে প্রস্তাবিত দর বেশি বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে পুনরায় নেগোসিয়েশনে বর্তমান দর ৩৫২.০০ মার্কিন ডলার/মেট্টিক টন নির্ধারত হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত এক লাখ মেট্টিক টন গম কেনার জন্য প্রতি মেট্টিক টন ৩৫২.০০ মার্কিন ডলার দরে (প্রতি কেজি ২৯.৮৪৯৬ টাকা) মোট ৩,৫২,০০,০০০ (তিন কোটি বায়ান্ন লক্ষ) মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে অর্থাৎ টাকার অঙ্কে প্রতি মার্কিন ডলার ৮৪.৮০ টাকা হিসেবে ২৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে। এই অর্থ ২০২০-২১ অর্থ বছরের গম ক্রয় খাত থেকে মিটানো হবে।

এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

Next Post

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কযুক্ত সংবাদ প্রকাশে যত্নবান হতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

মঙ্গল ফেব্রু. ২৩ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ বন্ধু রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশনে যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্পর্কযুক্ত সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ‌্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষখ সেমিনারে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links