রামেক হাসপাতালে রোগীকে হেনস্তাকারীকে মুচলেকায় ছাড়লো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিশুসন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে একটি ওষুধ কোম্পানির এরিয়া ব্যবস্থাপক ওমর সিদ্দিকসহ তার সহযোগী দুইজনকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।  আর এ ঘটনায় ওষুধ কোম্পানির এই তিনজন সদস্যকেই পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে । তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওষুধ কোম্পানির এই তিনজন এজেন্ট অবৈধভাবে রোগিদের ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলছিলো। তাদেরকে আনসার সদস্যরা নিষেধ করলে বাগ্বিতন্ডায় জড়ান ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। একপর্যায়ে আনসার সদস্যদের গায়ে হাত তোলে তারা। পরে তাদেরকে নগরীর রাজপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

রোববার (১৩ জুন) সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, কোম্পানি সদস্যদের হাসপাতালে প্রবেশে গত সাত মাস থেকে নিষেধ করা হচ্ছে। কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাদের নিষেধ করলে তারা বাগ্বিতন্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে গায়ে হাত তোলেন। এঘটনায় তাদেরকে থানায় দেয়া হয়।

তবে ভুক্তভোগী ওমর সিদ্দিক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তার বাচ্চার কানে চর্মরোগের সমস্যা। সকালে বাচ্চাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগের এক চিকিৎসককে দেখান। তার সহকর্মী সোহেল রানাও হাসপাতালের ৩৪ নম্বর কাউন্টারে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। ছেলের চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে আনসার সদস্যরা তাকে ওই দিকে যেতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে তারা বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে একজন আনসার সদস্য তার গালে একটি চড় মারেন। তখন কোলে থাকা বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে যায়। সহকর্মী সেলিম রেজা তখন বাচ্চাটিকে মাটি থেকে টেনে তোলার পাশাপাশি চড় মারার প্রতিবাদ করলে তাকেও হেনস্তা করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালের পরিচালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিচালক তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী সোহেল রানা জানান, কয়েক দিন আগে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার দেখানোর সুযোগ পাননি। তাই রোববার তিনি ওই টিকিটে ৩৪ নম্বর কাউন্টারে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ওষুধ কোম্পানির কর্মীরা হাসপাতালে এসে রোগীর ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে নেন। অনেক রোগীর গোপনীয় চিকিৎসার ব্যাপার থাকে। এভাবে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা ঠিক নয়। এ জন্য তিনি আনসার সদস্যদের বিষয়টির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আনসারদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর দুই পক্ষই তার কাছে আসে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের ভুল স্বীকার করে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তারা কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের গায়ে হাত তুলেছেন। তাই তাদের থানায় দেয়া হয়েছে। এবিষয়টি নিয়ে ওষুধ কোম্পানির এই প্রতিনিধিদের সিনিয়ররা এসেছিলেন। তারা আইনগত ব্যবস্থা না নিতে অনুরোধ করেছেন। তাই তারাও লিখিত কোনো অভিযোগ করেন নি। এখন থানা তাদের মতো ব্যবস্থা নিবেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নিবে না বলে জানিয়েছে। তারা হয়তো মিমাংসায় এসেছেন। একারণে আটকৃতদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Next Post

রাজশাহীতে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪৯ হাজার ২শ টাকা জরিমানা

রবি জুন ১৩ , ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন না মানায় ২৯ জনের কাছ থেকে ৪৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজ রবিবার(১৩ জুন) লকডাউনের তৃতীয় দিনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়,রবিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links