আভা ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পুকুর খননের মাটি বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার মাসুদ রানা। রাবি প্রশাসন বলছে, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কৃষি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মধ্যে জরুরি সভা হয়েছে। সভা শেষে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গল ও বুধবার (৩০ ও ৩১ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলের পাশের জমিগুলোতে পুকুর খননের কাজ চলছে। জমির উত্তর-পশ্চিম পাড় খননযন্ত্র দিয়ে বাঁধার কাজ চলছে। তবে, খননের মাটি একের পর এক ট্রাকে ভরাট করে বধ্যভূমির পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা পূর্ব দিকে ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যাচ্ছে।
রাবিসূত্র বলছে, ঠিকাদার মাসুদ রানার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুধপাড়া এলাকায়। তিনি ৪ বছরের জন্য মাছ চাষ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্প বলছে, জমির মাটি ক্যাম্পাসের বাইরে না নিয়ে যাওয়ার শর্তে ঠিকাদারকে ৪ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। পুকুর খননের অতিরিক্ত মাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক করবে কৃষি প্রকল্প।
মঙ্গলবার বিকেলে পুকুর খননের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ছবি তোলায় কারণ জানতে চান ঠিকাদারের ভাই মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গাড়ির ছবি তুলবা না, পরিষ্কার কথা। লেখাপড়া করতে আসছো, লেখাপড়া করো যাও। এখানে তোমাদের কোনো কাজ নেই। সাংবাদিক হও আর যাই হও, ছবি কেন তুলবা? ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নিয়েছি। দুই-চার-পাঁচ গাড়ি তো আমার নিজের জন্য নিতেই পারি।’
কৃষি প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘পুকুর খননের মাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যাচ্ছে। এ কথা শোনার পর সেখানে গিয়ে তাদের নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। এই বিষয়ে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে ঠিকাদার মাসুদ রানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে একটা জায়গা ভরাটের জন্য মাটি নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়েই মাটি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি জরুরি মিটিং হয়েছে। এতে পুকুর খননের মাটি বাইরে নেওয়ার অভিযোগে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছি।’