রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের নাম পরিবর্তন করার আন্দোলন অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বিভাগটির শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাসের সঙ্গে রাবির পপুলেশন সায়েন্সের মাত্র ২০ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা দাবি সিলেবাসের ৭২ শতাংশেরও বেশি মিল রয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষকেরা এ দাবি করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে পিএসসি-তে বিষয়কোড অন্তর্ভূক্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার অবস্থান, মানববন্ধন, মিছিল কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বিভাগের নাম পরিবর্তন দাবি করে আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে তারা। পরে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আন্দোলন স্থগিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের মোট ক্রেডিট ১৬০। যার মধ্যে তত্ত্বীয় ১২৮,
ব্যবহারিক ২৪ ও মৌখিক ৮। তত্ত্বীয় ক্রেডিটের ৬৪ ক্রেডিট পপুলেশন সায়েন্স, ১৬ ক্রেডিট হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ২০ ক্রেডিট পরিসংখ্যান এবং বাকি ক্রেডিটগুলো সাবজেক্ট রিলেটেড। ঢাবির ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের সিলেবাসের সঙ্গে রাবির পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সিলেবাসের মাত্র ২০.৩ শতাংশ মিল রয়েছে। তাই বিভাগের নাম পরিবর্তনের কোনযৌক্তিকতা নেই।
এদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোর্স সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ঢাবির ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সঙ্গে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের
তুলনা দেখান। এতে উল্লেখ করা হয়, ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৩২টি কোর্সে মোট ১৪০ ক্রেডিট পড়ে থাকে। এর মধ্যে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ১০১
ক্রেডিট পড়ান হয়। যা ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ের সঙ্গে ৭২.১৪ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা বিষয়ে জরুরি সভার আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের অনশন স্থগিতের আহ্বান জানান। এরপরও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি জারি রাখেন। টানা ৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর শুক্রবার মধ্যরাতে সভার সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।