নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ (১২.০২.২০) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে তারা এসব দাবি জানান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান সারদকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২.০২.২০) দুপুরে নগরীর মতিহার থানা থেকে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সারদ জানিয়েছে ঘটনাটি পরিকল্পিত। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ ও পরে এর ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল সারদের। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে সারদ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানিয়েছে। প্রয়োজনে আদালতের কাছে আমরা আবার তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, পাঁচ মাস পূর্বে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে সারদ। গত ২৪ জানুয়ারি ভুক্তভোগীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে সারদ। পরে সারদ তার বন্ধুদের দিয়ে কৌশলে এর ভিডিও ধারণ করান। পরে সারদ তার বন্ধুদের দিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি সারদসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারদ ও তার বন্ধু প্লাবন, রাফসান, জীবন ও জয়কে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই কারাগারে আছে।
মানববন্ধনে দাবি তোলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকারিতা বৃদ্ধি, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর চাই; মুজিব বর্ষে হোক অঙ্গীকার, আর নয় ধর্ষণ নিপীড়ন; ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড- লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অথচ সেই নিরাপত্তার জন্য মেয়েদের আজ রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। দেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বিচার না অপরাধীরা যেমন পার পেয়ে যাচ্ছে, তেমনি এসব ঘটনা ঘটেই চলেছে। আমরা চাই ধর্ষণের মত জঘন্য এ অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদ- হোক। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদি কবীরের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।