আভা ডেস্ক : রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা সড়ক পরিদর্শনে এসে শুক্রবার সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হয়েও নির্বাচনী এলাকায় কখনও যাইনি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বললে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তিনিও তো জেনারেল সেক্রেটারি, তিনি যেতে পারেন অথচ আমরা যেতে পারি না। তারপরও নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি, নির্বাচন কমিশনের যে নিয়ম, এমপি-মিনিস্টাররা এলাকায় যেতে পারবেন না, গত খুলনা-গাজীপুর নির্বাচনে আমরা তা লঙ্ঘন করিনি।
তিনি বলেন, আমি আবারও আশ্বস্ত করতে চাই স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের যে নিয়ম-কানুন, আচরণবিধি, তার সব আমরা সরকারি দলের পক্ষ থেকে মেনে চলব। রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আগামী ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইল বাইপাসে যে সমস্যাটা হতো সেটা আর এবার হবে না। ধেউরিয়া রেল ওভারপাসের কাজ প্রায় শেষ। কিছু আইনসংক্রান্ত সমস্যা আছে। সেখানে ঈদযাত্রা গতবারের চাইতে আরও স্বস্তিদায়ক হবে। ফোর লেনের যাতায়াত অনেক সুবিধাজনক হবে। এবার ২৩টি নতুন ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি আটকে গেলে যানজট সৃষ্টি হয়। এটা যাতে না হয় তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। কোনো অবস্থায় হাইওয়েতে কোরবানির পশুর হাট বসবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের আগেই জানিয়ে দিয়েছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ভারতে কে আসবে কে আসবে না এটা আমাদের ব্যাপার নয়। এটা ভারতের নিজেদের নিয়ম-কানুনের বিষয়। ভারতের নিজেদের সিদ্ধান্ত। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকায় লর্ড সভার সদস্য ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড অ্যালেক্সান্ডার কার্লাইলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। এ অনুমতির ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে ভারত সরকারের। এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। এটা ভারতের ইন্টারনাল ম্যাটার, এখানে বাংলাদেশ সরকার কেন ইন্টারফেয়ার করবে। এটা যদি বাংলাদেশের বিষয় হতো, তাহলে কি ভারত ইন্টারফেয়ার করত? তাহলে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমরা কেন নাক গলাতে যাব? এ সময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- সড়ক বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, গাজীপুর সড়ক ও জনপদের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাহিন রেজা, গাজীপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গাউস উল হাসান মারুফ, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, কালিয়াকৈর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মাসুদ আলম প্রমুখ।
যুগান্তর