নিজস্ব প্রতিবেদক: আর মাত্র একদিন ২৯ জুলাই দিন বাদে রাত পোহালেই আসন্ন সিটি নির্বাচন সকাল থেকে শুরু ভোট গ্রহন। কে হবে আগামী রাজশাহী নগর পিতা তা নিয়ে উৎসুক জনতা মাঝে জল্পনা কল্পনার যেন কমতি নেই। দীঘদিন থেকে মাঠে প্রচার প্রচারনার কাজটি এগিয়ে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সাবেক সফল মেয়র, আধুনিক রাজশাহীর রুপকার এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। দেরীতে হলেও প্রচার প্রচারনায় মাঠে নামে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। ২৮ জুলাই দিনগত রাত ১২ টায় শেষ হয় সকল প্রার্থীর প্রচার প্রচারনের কাজ।
এখন শুধু দেখার কে হয় আগামীর নগর পিতা। বিএনপির সর্মথকারীরা বলছে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বুলবুল। অপর দিকে আওয়ামীলীগ সমর্থনকারীরা বললেন এবার নৌকার জয় সুনিশ্চিত। আসলে কি হবে ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি নির্বাচনে? কাকে এবার এগিয়ে রাখছে নগরবাসী তা এখন মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তবুও মনের অজান্তেই জানতে ইচ্ছে করে কে বা কার জিতার সম্ভাবনা আছে এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষণ করেন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক টিম জানতে চাওয়া হয় জনতার কাছে গোপনে আবার প্রকাশে, উঠে আসে একটু ভিন্ন ধর্মী ফল।
জানা যায় দল মত নির্বিশেষে সবাই একটু বেশি প্রধান্য দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ পদপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকেই। কিন্তু এবার দল মত নির্বিশেষে সকলেই লিটন কেই কেন?মেয়র করতে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তর যেন একটায়, ‘চাই রাজশাহীর উন্নয়ন’ চাই যে নগরীতে বসবাস করি তা যেন সব সময় শান্তিময় থাকে, তা একমাত্র লিটনের নৌকার উপর চোখ বুঝেই বিশ্বাস করা যায়। আর এই একটি মাত্র কারনেই সকলের চাওয়া যেন পাল্টে গেছে, কে দেশ চালালো আর কে সরকার হলো সেটা যেন দেখার বিষয় নয় নগরবাসির, তাদের একটাই চাওয়া শান্তির নগরী, শিক্ষা নগরী, সবুজ নগরী যেন ঠিক পূর্বে যেভাবে লিটন সাজিয়েছিল ঠিক তেমন হয়।
কথা হয় ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ নং ওয়ার্ডের সদস্য, কায্যনির্বাহী কমিটি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সফিকুল ইসলাম সফিকের সাথে, তিনি দীর্ঘদিন যাবত উক্ত ওয়ার্ডগুলোতে প্রচার প্রচারনার কাজ করছিলেন। তার কথায় বিশ্বাস যতটা না হয়েছিল তার চেয়ে বেশি ভাল লেগেছে ওয়ার্ডগুলোর আম-জনতার কথা। ২৫ নং ওয়ার্ডের রহিম জানায় আমি এবার নতুন ভোটার তাই আমি একটু বেশি উৎসুক, কাকে ভোট দিবেন জানতে চাইলে নির্বিঘ্নে বলেন অবশ্যই লিটন ভাইকেই ভোটটি দিব, কারন ঐ একটায় শান্তি আর সুন্দর নগরী।
কথা হয় ২৬ নং ওয়ার্ডের সমশের নামে এক বৃদ্ধা চাচার সাথে তিনি বলেন আমরা গরীব মানুষ এখনো কাজ করে খাই, আগামীতেও সেই কাজই করে খেতে হবে কে মেয়র হল আর কে সরকার হল তা আমার দেখার বিষয় নয়, আমি চাই দেশ থেকে মাদক কথাটির ম ও না থাকে আর সেটা একমাত্র লিটনই পারবে। এরুপ আরো সকল ওয়ার্ডেই কথা হয় বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন নারী পুরুষের সাথে সকলের একটা আশা এবার লিটন কেই ভোট দিব তাও যেন রাজশাহীর উন্নয়ন হয়। ১৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আনার জানান রাজশাহীর মানূষ জেনে গেছে কাকে দিয়ে রাজশাহীর উন্নয়ন সম্ভব, তাই এবার নৌকার জনস্রোত চলছে, লিটন ভাইকে মেয়র হওয়া থেকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। সেই সাথে তিনি বলেন রাজশাহীর উন্নয়নের কথা ভেবে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এবার আওয়ামীলীগ কাউন্সিলর প্রার্থীরাও জিতবে ইনশাআল্লাহ।
মতিহার থানা যুবলীগ তরুন নেতা সফিকুল ইসলাম সফিক জানান রাজশাহীবাসি, এবার আর ভুল করবে না, আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে, সাধারন মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, এবার কেউ নৌকার জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগ রমজান- বাচ্চুর নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে যে ভাবে প্রচার প্রচারনা করা হয়েছে তা ইতিপূর্বে কেউ করেনি যার কারনেই এবার বিপুল ভোটে জয়ী হবেন লিটন ভাই। আগে নগরবাসি জানত না, কার মাধ্যমে নগরীর উন্নয়ন সম্ভব তা এবার নগরবাসিকে আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, আর নগরবাসি নিজের চোখে লিটন ভাইয়ের সাড়ে চার বছরের উন্নয়ন ধারা দেখেছে, এবার জয় সুনিশ্চিত। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গত ১০ মার্চ থেকে আজ শেষ দিন পর্যন্ত নগরী সব ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করেছি। যেখানেই গেছি, সেখানেই নৌকার পক্ষে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এক কথায় নগরজুড়ে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই গণজোয়ারকে জন সমুদ্রে পরিণত হবে ভোটের মাধ্যমে লিটন ভাইয়ের জয়ের মাধ্যমে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের বিনোদপুর বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তরুন নেতা সফিক আওয়ামী লীগ মনোনীত, মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটনের পক্ষে , এরপর মির্জাপুর, হনুফার মোড় ও আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
পরে নগরীর কাজলা, বাজে কাজলা ও তালাইমারি এলাকায়ও ভোটারদের কাছে ভোট চান তিনি। এ সময় স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান।