নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অনেকটাই নিরাপত্তাহীনার রয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট। এই ক্যাম্পাস চত্বরে ঘটছে একের পরে এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
রুয়েটের মতো দেশের অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টার ঘটনাটি ঘটার পরে এখানকার নিরাপত্তা কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রুয়েটে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেটি কানে তোলেনি প্রশাসন।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে এ ঘটনাটি। এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে বাস চালক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এছাড়াও রুয়টের হলগুলোতে মাঝে-মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সম্প্রতি তুলকালাম কা- ঘটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যেও। কিন্তু তার পরেও রুয়েটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি।
রুয়েটের একজন শিক্ষক গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো বালায় নাই। প্রধান ফটকে আনসার সদস্য দায়িত্ব থাকলেও তারা যেন কিছু দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকে। ফলে রুয়েটে একের পর এক বড় বড় অপকর্ম ঘটে চলেছে রাতের আঁধারে। কিন্তু রুয়েট প্রশাসন এসব ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। যার কারণে রুয়েটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন চরম হুমকিরমুখে পড়েছে।’
তবে বিষয়টি নিয়ে রুয়েটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও রেজিষ্টার সেলিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।’
ভিসি রফিকুল আলম বেগও ফোন রিসিভ করেননি। তবে তাঁর ঘোনিষ্ট বলে পরিচিত সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রুয়েটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগে যেরকম ছিল, তেমনই আছে। তবে এখন একটু বেড়েছে। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো সেটি সত্যিই ভাবার বিষয়।’
এভি-১