রাজশাহী পবা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অনিয়মের দ্বিতীয় পর্ব।

আব্দুর রাজ্জাক -রাজশাহীর পবা উপজেলা ভূমি সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রনালয় কতৃক নির্ধারিত দলিল রেজিস্ট্রি ফিয়ের ২ থেকে ৩ গুন টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা সাধারন মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগে প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দলিল লেখক,নকল নবিশ,পেশকার এমনকি সাব রেজিস্ট্রারের সাথে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনের সাথে অতিরিক্ত ফ্রী নিয়ে বাকবাতিন্ডা, এমন কি হাতাহাতির ঘটনা নিত্য নৈমত্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্ধারিত ফ্রি এর অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে জমি দলিল বা রেজিস্ট্রি হয়না অফিসটিতে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে লান্ছিত হতে হয় তাদের ভাড়াকরা লোকজনের হাতে।
বিষয় টি সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারকে জানিয়ে কোন সুরাহা পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
অফিস টির অনিয়ম নিয়ে স্থায়ীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকায় ধারাবহিক সংবাদ হলেও কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনিয়ম নিয়মে পরিনিত হয়েছে।

হারিয়ে যাওয়া পৈত্রিক জমির নকল তুলতে আসা নওহাটার সেলিম,কলিমুদ্দিন ও রওশান আরা জানায়,জমির নকল তুলেত তাদের নিকট ১২ শত টাকা দাবি করে নাঈম। তাছাড়া কাজ হবেনা। এমন অভিযোগ বায়ার আমিনুল, জয়নাল ফিরোজ ও চারচিটের মোড়ের অঞ্জনা ও,হসিবুল সহ অনেকের।
এছাড়া একাধিক ভুক্ত ভুগিদের দেয়া তথ্যা অনুযায়ি অফিস টির পেশকার সেলিম,ভূমি মন্ত্রনালয়ের নির্ধারিত
ফ্রি ছাড়া দলিল প্রতি ১ থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। পরে সে টাকা মাস শেষে পিয়ন থেকে সাব রেজিস্ট্রার জেলা রেজিস্ট্রার এমন কি স্থানীয় ভাড়াটিয়া মাস্তানদের নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। বেশি টাকা নেন পবা সাব-রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি তার পর পেশকার সেলিম ও তার ছেলে নাইম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক ও একজন অফিস স্টাফ জানায়, পেশকার সেলিমকে প্রতি দলিলে জমির পরিমান মাফিক দেড় থেকে দুই হাজার টাকা না দিলে কোন জমি রেজিস্ট্রি হয়না। প্রতি মাসে অফিসটিতে অবৈধ ভাবে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আয় হয়ে থাকে। আর অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন পেশকার সেলিম ও তার ছেলে নাঈম।
দলিলের নকল তোলার কাজটি নাঈমের দায়িত্বে থাকায় এবং পিতা পেশকারের সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলিলের নকল তোলার ফ্রি সরকারী ভাবে ৪৫০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ১ হাজারের অধিক টাকা আদায় করে নাঈম।
পবা সাব রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলির সাথে অফিসটির অনিয়ম নিয়ে কথা বলার জন্য তার ০১৯১৭৭৬৬৮০৭ নাম্বার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি প্রথমে প্রতিবেদককে প্রলোভিত করার চেষ্টা ও নিজেকে সৎ মানুষ হিসাবে জাহির করেন এবং বার বার প্রতিবেদককে স্বাক্ষাতের জন্য দেখা করতে বলেন, অন্যথায় বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানান।
প্রতিবেদককে পরে সাব রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি বিভিন্ন জনকে দিয়ে ফোন করিয়ে সংবাদ না করার জন্য ম্যানেজ করার চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় ও সর্বশেষ প্রতিবেদককে হুমকি দেন।
তবে, অফিসের একজন স্টাফ জানান স্যার স্বাস কস্টে ভুগছেন এবং মানষিক রোগী। তাকে কিছু বললে তিনি এজলাশে বসেই ছেলে মানুষের মত অহেতুক কান্নাকাটি করে পরিবেশ নষ্ট করেন।
গুরুত্ব পূর্ন পদে একজন মানষিক রোগীকে দিয়ে চলেনা।
বিষয় টি নিয়ে রাজশাহী জেলা সাব রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদের সাথে পবা ভূমি অফিসের অনিয়মের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমি অসুস্থ।তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে, সবার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পবা উপজেলে সাব রেজিস্ট্রার মিলির এজলাশে বসে কান্নার অডিও আসছে। সংযুক্ত।

Next Post

শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বলন করলেন অর্না জামান।

শনি নভে. ৩ , ২০১৮
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এতে নেতৃত দেন এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার দৌহিত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। এসময় ডা. অর্ণা জামান বলেন, জাতীয় চার নেতা […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links