রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় চন্দ্রিমা থানার কথিত দালাদ ও মাদক ব্যাবসায়ী রবের মোড়ের রুবেল কে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয় স্থায়ীরা।দীর্ঘদিন যাবৎ শিরোইল কলোনিতে সাধারণ মানুষজনকে হয়রানি সহ পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছে এমন অনেকের অভিযোগ রুবেলের বিরুদ্ধে। শিরোইল কলোনির রবের মোড়ের চোর জাকিরের ভাই জীবন, ধলুদের মাদক বিক্রিতে সহযোগীতা করে আসছিলো রুবেল। প্রকৃত মাদক ব্যাবসায়ীকে মাসিক মাসোয়ারাই ছাড় দিলেও হয়রানিতে পড়তে হয় সাধারণ আমজনতাকে। এর আগেও কথিত পুলিশের দালাল পরিচয় দানকারী রুবেলের সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে স্থায়ীরা লিখিত অভিযোগ দেন পুলিশ কমিশনার বরাবর। লিখিত অভিযোগের তদন্ত ভার পড়েন একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারের নিকট। তদন্ত ব্যাবস্থাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক অপকর্ম চালাচ্ছেন এ এস আই মামুন ও ওসির গাড়ির ড্রাইভার কনস্টবল এবং রুবেল। শিরোইল কলোনিতে বিভিন্ন লোকে হয়রানির জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় রুবেলকে পেয়ে যায় স্থানীয় ছেলে বুড়ো সহ অনেকে, তারা তাকে চড় থাপ্পড় মেরে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষন পরেই রবের মোড়ের চোর জাকির, রুবেল সহ এ এস আই মামুনের নেতৃত্বে সারা কলোনিতে অভিযানের নামে হয়রানি করেন আওয়ামীলীগের কিছু যুবকে। প্রত্যক্ষদশীরা জানান দিন দিন রুবেল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এলাকাতে, যাকে তাকে যখন তখন চেক করার নামে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসছেন। এই কারণের এলাকাতে সাধারণদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সোহেল নামে একজন জানান কথিত পুলিশের দালাল মূলত ইয়াবা বিক্রির হোতা, পুলিশের ছ্ত্র ছায়ায় মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ হয়রানি হলেও ধরা ছোয়ার বাহিরে মাদক ব্যাবসায়ী জাকির,টিটু, রুবেল, জীবন, কাজল, আক্কাস। অপরদিকে মহানগরীর কোথাও জুয়া খেলা না চললেও চন্দ্রিমা থানা এলাকায় চলছে জুয়া।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুনের সাথে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন, তা না হলে পরিনাম খারাপ আছে বলে হুমকি দেন প্রতিবেদকে।
এখানে উল্লেখ যে চন্দ্রিমা থানার ওসির নেতৃত্বে ইতি পূর্বে মাদক ব্যাবসায়ীর ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের সামনেই মেদরক মারধর করা হয় সাংবাদিক রেজাউল কে। উক্ত বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা মামলা না নিলে রেজাউলের পক্ষে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সম্পাদক কোর্টে মামলা করেন রুবেল সহ চোর জাকিরের তিন ভাই এবং মাদক সম্রাট ধলুর নামে। অজ্ঞাত কারণেই চন্দ্রিমা থানা তাদের না ধরে মামলার কাগজ তাদেরকে দিয়ে অগ্রিম জামিন নেওয়াতে সাহায্যে করেন।
সুমন নামে একজন জানাই প্রতিনিয়তই রুবেল থানায় বসে থাকে, আর রাতের বেলায় সে নিজে পুলিশের সাথে নিজে পুলিশ সেজে সাধারণ পথযাত্রীদের চেক করেন। ভুক্তভুগি মাজেদ জানাই কিছুদিন আগে তাকেও বিনা কারণে চেক করেন রুবেল তারপর বাম পকেটে একটি ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে স্থায়ীদের চাপের মুখে তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম জানান, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। যদি এরূপ ঘটে তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।