নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলেজের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার । পরিবার বলছে পড়াশুনার চাপে আত্নহত্যা করেছে । স্থানীয়রা বলছে বিয়ে ঠিক হওয়ায় আত্নহত্যা করেছে । কারণ বিয়েতে মেয়ের মত ছিল না । পড়াশুনার চাপে আত্নহত্যার কথা কেউ বিশ্বাস না করলেও বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ায় আত্নহত্যা করেছে এটাই বিশ্বাস করছে স্থানীয়রা। করোনাকালে পড়াশুনার তেমন চাপ ছিল না শিক্ষার্থীর । ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবার বিয়ে ঠিক করায় আত্নহত্যা করেছে ঐ কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ।
নিহত ওই ছাত্রীর নাম সিরাজাম মুনিরা (২২)। তিনি রাজশাহী কলেজের রসায়ন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মুনিরা বাগমারার বড়বিহানালী ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের দেওয়ান আমিনুল হকের মেয়ে। আমিনুল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজাম মুনিরা ঈদের আগে রাজশাহী শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যান। তিনি মা–-বাবার সঙ্গে রাজশাহী শহরে থাকতেন। এর মধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েকে বিয়ে দিতে পাত্র খোঁজা হচ্ছিল। মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে পাত্রপক্ষের আসার কথা ছিল। পছন্দ হলে এদিনই বিয়ে হত ।
তবে এই বিয়েতে সিরাজাম মুনিরার সম্মতি ছিল না। বিষয়টি তাকে জানানো হলে বিয়ে সে করবে না মর্মে সাফ জানায় । তবুও বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষকে ডাকা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির লোকজন পাশের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যায়। সিরাজাম মুনিরা বাড়িতেই ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, একজন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ । ঐ শিক্ষার্থীর নাম মনিরা, সে রাজশাহী কলেজে পড়াশুনা করত । শহরে তার পিতামাতার সঙ্গে থাকত। ঈদে গ্রামের বাড়ি এসে এই ঘটনা ঘটে । তার লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ।