নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর নটি উপজেলার মধ্যে ভোট হচ্ছে আটটিতে। রবিবার সকাল আটটা থেকেই ভোটগ্রহণ চলছে। কিন্তু সব উপজেলাতেই প্রায় একই চিত্র। নিরুত্তাপ ভোট। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না একেবারেই। ভোটার না থাকায় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্য থেকে শুরু করে পোলিং এবং এজেন্টরাও যেন গল্প-আড্ডায় সময় পার করছেন।
জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর, তানোর, পুঠিয়া, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাট, মোহনপুর ও বাঘাতেও একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে অধিকাংশ কেন্দ্রে। ফলে কেন্দ্রের ভিতরে দায়িত্বরতদের বসে থেকে গল্প-আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
আমাদের বাগমারা প্রতিনিধি আফাজ্জল হোসেন জানান, বাগমারায় অধিকাংশ কেন্দ্রেই সকাল থেকেই একেবারে ফাঁকা অবস্থা বিরাজ করছে। সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মচমইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, একজন ভোটারও নাই। বাইরে একটি কাঠের ব্যাঞ্চে বসে থেকে সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বরতরা।
উপজেলার অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।
অন্যদিকে সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ২ হাজার ৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৫৮ জন। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার খন্দকার মাহফুজুল হক বলেন, ভোটার কম হলেও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর অন্য উপজেলা গুলোতেও ভোটারের সংখ্যা কম। সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভোটার দেখা গেছে গোদাগাড়ীর সারেংপুর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে ২ হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুল হক।
এর মধ্যে শনিবার দিবাগত রাতে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে মইদুল ইসলাম আপেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। রাতেই কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট ভর্তির দাবি জানালে তাকে আটক করা হয়। গোদাগাড়ীতে নৌকার প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পবা উপজেলার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত রয়েছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় রোববার ভোট গ্রহণ চলছে বাকি আট উপজেলায়। সেগুলো হলো, গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট এবং বাঘা।
আট উপজেলায় ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬ চেয়ারম্যান, ৩০ ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯ মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাঘা ও মোহনপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এল/পি