রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে, লিটন।

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে চায়নার বৃহত্তর কোম্পানি পাওয়ার চায়না। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে পাওয়ার চায়না কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দলের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনের মিনি কনফারেন্স কক্ষে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ দুপুরে পাওয়ার চায়না কোম্পানির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নগরভবনে আসেন। এরপর তারা সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে মিটিংয়ে মিলিত হন। মিটিংয়ে রাজশাহী উন্নয়নে নির্ধারিত আলোচ্যসূচি অনুযায়ী আলোচনা হয়।

মিটিংয়ে জানানো হয়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে চায়নার বৃহত্তর কোম্পানি পাওয়ার চায়না। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, প্রথমতঃ পদ্মা নদীরধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দ্বিতীয়তঃ রাজশাহীতে জেনারেল এবং স্পেশালাইজ হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তৃতীয়তঃ হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন এবং টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো হবে। চতুর্থতঃ ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। পঞ্চমত ঃ নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এরমধ্যে গণপরিবহণ, রাস্তা, রাস্তার আলোকায়ন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যানের বাইরেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। এরপর তিনি চায়না বৃহত্তর একটি কোম্পানি পাওয়ার চায়নাকে আমার কাছে পাঠান। গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানিটির সাথে আমরা প্রথম মিটিং করি। রাজশাহীর উন্নয়নে অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারাও মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে রাজশাহীর উন্নয়ন করা হবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। তারা অর্থসহ সব কিছু ইনভেস্ট করবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আশা প্রকাশ করে বলেন, যে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে, সেটা বাস্তবায়ন হলে পুরো রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন হবে। মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে। রাজশাহীবাসীকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম, সেটাও বাস্তবায়ন হবে। আশা করছি আমরা ভালোভাবে কাজ শুরু করতে পারবো।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাসিক, অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এবং পাওয়ার চায়নার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপর পাওয়ার চায়নার সাথে আবারো আলোচনার পর এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।

মিটিংয়ে পাওয়ার চায়না প্রতিনিধি দলের মি. এ্যান্ডুসনহ অন্যান্যরা অংশ নেন। আলোচনা সভায় সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাসার, নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজেত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আভা এস /এল

Next Post

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুর্নীতির চাক্ষুষ প্রমাণ পায়।

বৃহস্পতি ফেব্রু. ২৮ , ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুর্নীতির চাক্ষুষ প্রমাণ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় অনিয়মের দালিলিক প্রমাণও জব্দ করা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতরে ঠিকাদার নিয়োগে ঘুষ লেনদেন ও দুর্নীতি হচ্ছে। একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links