রাজশাহীর পদ্মার পানিতে রাজহংসী ‘কমন মার্গেঞ্জার’।

আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশে খুবই অনিয়মিত দেখা যায়, এ জন্য এর বাংলা নামই রাখা হয়নি। ইংরেজি নাম ‘কমন মার্গেঞ্জার’। যাঁরা পাখি চেনেন, তাঁরা মার্গেঞ্জার নামেই একে চেনেন। বাংলাদেশ উদ্ভিদ  ও প্রাণী জ্ঞানকোষএও একে ‘পাতি মার্গেঞ্জার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

চোখ, পা ও পায়ের পাতা লাল এবং উজ্জ্বল লাল-কমলা রঙের এই হাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ রাজহংসী। পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর এই হাঁসকে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে প্রথমবারের মতো দেখা গেছে। তবে পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে এই হাঁসকে তৃতীয়বারের মতো দেখা গেল।

গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলের রোদটা পড়ে আসছিল। অধ্যাপক এম মনিরুল এইচ খান রাজশাহীতে এসেছিলেন ‘বৈকাল টিল’ নামের আরেক জাতের দুর্লভ হাঁসের ছবির সন্ধানে। ৭ ডিসেম্বর রাজশাহীর পাখিপ্রেমী নূর-এ-সাউদ পদ্মা নদীতে বৈকাল টিল বা বাংলায় ‘বৈকাল তিলিহাঁস’-এর দেখা পেয়েছেন। এই খবর শুনে ঢাকা থেকে আসেন মনিরুল এইচ খান। সঙ্গে রয়েছেন নূর-এ-সাউদ ও পাখিপ্রেমী চিকিৎসক মঈনুল আহসান। বিকেল ফুরিয়ে আসছে কিন্তু তাঁরা বৈকাল তিলিহাঁসের দেখা পাচ্ছেন না। এমন সময় নূর-এ-সাউদের চোখে পড়ে নতুন জাতের এক জোড়া হাঁস। রাজশাহীতে আগে এই হাঁস দেখা যায়নি।

মনিরুল এইচ খান বলেন, বাংলাদেশে এই পরিযায়ী পাখি অনিয়মিত। সাম্প্রতিক কালে এটিকে তৃতীয়বারের মতো দেখা গেল। এর আগে দুবার ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা গেছে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ  ও প্রাণী জ্ঞানকোষ, পাখি খ—২৬-এ বলা হয়েছে, পাতি মার্গেঞ্জার বাংলাদেশে অনিয়মিত পাখি।

শীতকালে ঢাকা বিভাগের যমুনা নদীতে দেখা গেছে। সিলেট বিভাগে থাকার একটি পুরোনো তথ্যও রয়েছে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায় এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি। এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান, ভারত, নেপাল ও ভুটানে দেখা যায়।

পাতি মার্গেঞ্জার প্রবহমান নদী ও নালায় বিচরণ করে। স্রোতের বিপরীতে পানির নিচে ডুব দিয়ে মাছ ধরে খায়। এর খাদ্যতালিকায় মাছ ছাড়াও রয়েছে জলজ পোকামাকড়, চিংড়ি, শামুকজাতীয় প্রাণী, ব্যাঙ, পাখি, খুদে স্তন্যপায়ী ও লতাপাতা।

জুন মাসে প্রজনন ঋতুতে সাইবেরিয়া ও তিব্বতে পুরুষ হাঁস ‘ক্রেহ ক্রেহ’ স্বরে ডাকে। স্ত্রী হাঁস একটিমাত্র শব্দে ডাকে ‘ক্রক’, তবে শীতের আবাসে এরা কদাচিৎ ডাকে।

গাছের প্রাকৃতিক গর্তে এরা আবর্জনা ও কোমল পালকের স্তূপ বানিয়ে ডিম পাড়ে। ডিমের রং পীতাভ। সংখ্যায় ৬ থেকে ১৭টি হয়। ২৮ থেকে ৩২ দিনে ডিম ফোটে।

এসএল/১৯ প্রথম আলো

 

Next Post

গুজবের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, অর্থমন্ত্রী ।

শুক্র জানু. ৩ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গুজবের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। তাই গুজব বন্ধ করে পুঁজিবাজারকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আইনটি পুরোপুরি শক্তিশালী করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনগুলো পুরোপুরি কমপ্লায়েন্স ও প্রয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি […]

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links