নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীরে তানোরে জবাই করে এক নারীকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন নিহত জোহরা বেগমের পুত্রবধূ সোনিয়া অক্তার রুমি (২২)।
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তানোর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের জিতপুর গ্রামে শাশুড়ি জহুরা বেগম ও পুত্রবধূ সোনিয়ার সঙ্গে বিরোধ লেঘে থাকতো। গত বুধবার রাতে জহুরা বেগমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সোনিয়া কাঠ দিয়ে জহুরা বেগমের মাথায় আঘাত করেন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নিজেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, গলায় ও মাথায় আঘাত করে চিৎকার দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে জহুরা বেগমের মরদেহ ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে। তবে সোনিয়ার ভাষ্য ও ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এদিকে, রোববার (৭ অক্টোবর) রুমিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সোনিয়া শাশুড়ি জহুরা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেয় সে।
তাকে গতকাল রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সোনিয়া আক্তার রুমিই জড়িত মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।