রাইসুর রহমান, গোদাগাড়ীঃ খেতুরীধামে উপস্থিত দর্শনার্থীরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এলাকায় খেতুরীধাম গৌরাঙ্গ বাড়িতে শুরু হয়েছে ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি স্মরণ মহোৎসব। রবিবার সন্ধ্যায় শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে তিরোভাব তিথির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সোমবার অরুণোদয় থেকে অষ্ট প্রহরব্যাপী তারক ব্রাক্ষনাম সংকীর্ত্তণ এবং মঙ্গলবার সকালে দধি মঙ্গল, দ্বি-প্রহরে ভোগ আরতি ও মাহান্ত বিদায়ের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী স্মরণ মহোৎসবের শেষ হলো। আর এই উৎসব সুষ্ঠভাবে শেষ করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আয়োজক ও প্রশাসন।
এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জানে আলম বলেন, ‘এবারের উৎসবকে ঘিরে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত মেলা নির্বিঘ্ন করতে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকশ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকছে।’
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ‘খেতুরীধাম ও মেলাকে ঘিরে ওই এলাকায় যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। খোলা হয়েছে দুটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া মাঠে রয়েছেন র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ স্যানাল জানান, ‘বিশ্বজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলাম্বীদের মোট ছয়টি ধাম রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই ভারতবর্ষে। আর একটি মাত্র বাংলাদেশে। আর তা এই খেতুরীধাম। এ কারণে প্রতিবছর উৎসবকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলাসহ ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ ভক্তের আগমন ঘটে খেতুরীধামে।’
মন্দিরের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ চন্দ্র পাল বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে এবার ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগত নারী-পুরুষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রসাদ, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রেমতলী বাজার থেকে খেতুরীধাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়কটি সাজানো হয়েছ।’