নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালন করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। শনিবার বেলা ১১টায় কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্ব পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এরপর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুরে মানবভোজ বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় মেয়র বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির এক বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকের এই দিনে আমরা বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি এখনো পলাতক আছে, তাদের দেশে ফিরে এনে দ্রুত বিচার কার্যকর করার জোর দাবি জানাচ্ছি। সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
অপরদিকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। শনিবার দুপুর ১২টায় নগর ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরআগে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগর ভবন ও সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। বাদ জোহর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়, নগর ভবন, সোনাদিঘী জামে মসজিদসহ সকল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও মাসব্যাপী কালো ব্যাজ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত কোটপিন ধারণ এবং নগর ভবন ও প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যানার প্রদর্শন ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়।