আভা ডেস্কঃ রাজশাহীতে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। গত একমাস ধরে রাজশাহী মহানগরীর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীর নয় উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলাতেও শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ফাইজারের টিকা পাচ্ছে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ করতে হবে। রাজশাহী শহরের স্কুলগুলোতে একমাস আগেই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রথম ডোজের পর শহরে দ্বিতীয় ডোজও ইতোমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে শুধু পবা ও দুর্গাপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা টিকা পাচ্ছেন। বয়স ১২ হয়ে গেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক রাজশাহী নগরীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সারাদেশের জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এসি কক্ষে এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে এসি নেই, সেখানকার শিক্ষার্থীরা অন্য কোন স্থানে গিয়ে টিকা নেবে। শিক্ষা অফিস এর ব্যবস্থা করবে।
রিভারভিউ স্কুলে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম দেখতে গিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, মাউশির ব্যবস্থাপনায় তাঁরা স্কুলে স্কুলেই টিকা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে শহরের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩২ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এরমধ্যে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছে। বাকিদের দ্বিতীয় ডোজও গ্রহণ করা হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শহরের সব স্কুলে টিকা কার্যক্রম শেষ করতে চান তাঁরা।