নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সারাদেশে যখন মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলমান। তারই ধারাবাহিকতা হিসাবে দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকার প্রধান, মাননীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজকে আরো বেগবান ও উৎসাহিত এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে মাঠে নামে ত্যাগী কর্মীরা। তাই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ত্যাগীরা এ-ই র্যালীর আয়োজন করেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবু ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতাকর্মী। শিরোইল ১৯ নং ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন নির্ভিক, সৎ, নিষ্ঠাবান মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াহিয়া খানের সন্তান রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবুর নেতৃত্বে এ-ই র্যালীটি নগরী বিভিন্ন স্থান প্রত্যাক্ষ করেন। হাজার হাজার লোকজন নিয়ে র্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শেষে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে র্যালীটি শেষ করেন এ-ই যুবলীগ নেতা। র্যালীতে আগত জনতা জানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সফলভাবে পরিচালিত করছেন তার এ-ই কাজের উৎসাহ বৃদ্ধি করতেই এ-ই র্যালীটি আয়োজন করেন ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনির উদ্দিন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, সহসভাপতি আবদুল মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন মিঞা, আইন সম্পাদক আবদুর রফিক, যুবলীগ নেতা সহ মিছিলে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন। মুলত মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান যাতে সারাদেশ ব্যাপির মত রাজশাহীতেও হয়, সেই লক্ষেই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনার জন্য এ-ই আয়োজন। যুবনেতা আশবাবু বলেন, আওয়ামীলীগের মধ্যে কিছু নৈব্য জামায়াত বিএনপির মদতপুষ্ঠ লোকজন ঢুকে অনিয়ম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শাসন শোষন করে পরে জমি জমা দখল করে বনে গেছেন কোটিপতি, অথচ দুরদিনের ত্যাগী নেতারা হয়েছে বঞ্চিত। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ-ই অভিযানে ত্যাগীর এগিয়ে আসতে, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আওয়ামীলীগের কিছু ত্যাগী নেতারা মিলে এ-ই র্যালীর আয়োজন করি। অন্যদিকে এলাকাবাসীর জানায় যুবনেতা আশরাফ বাবুর পিতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দাদা ছিলেন পবা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, অন্য ভাইগুলোও আছেন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংগসংগঠনে। বিএনপি জামায়াত শাসন আমল থেকেই তারা হয়েছেন নির্যাতিত। অথচ সুবিধাবাদীদের আত্নকেন্দ্রীক হীনমন্যতা কারনে তাকেও হতে হয়েছে বলির পাঠা, পদে থেকেও তাকে রাখা হয়নি কোন কাজে। সারাজীবন দূরদিনের কান্ডারী হয়েই সেবা দিয়েছে এ-ই নেতা। দলে অনুপ্রবেশকারীদের অত্যাচারে এখন অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়েছে দলের মুল কাঠমো থেকে। যুবলীগের মধ্যেকার সম্পর্কের টানাপোড়ায় বহুদিন থেকে দূরে সরে আছেন এ-ই নেতা। ২০০৫ সাল থেকে হাটিহাটি পা পা,করে পশ্চিম রেলের ঠিকাদারী করে সংগঠন পরিচালনা করছেন। সেই থেকে পথ চলে তিনি পশ্চিম রেলের মালামাল সরবরাহকারী বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চালান।
মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী র্যালীর করায় অপ্রচারের অভিযোগ করেছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবু।
তিনি জানান, আমি মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী র্যালী করায় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার করছে। তিনি বলেন অপ্রচারকারীর কাছে অনুরোধ আমার অবৈধ আয়ের উৎস বের করে দেখান। আমি কোটি কোটি টাকার মালিক না, রেলে ঠিকাদারী করে সামান্য কিছু আয় আমার, যার প্রতিটির বৈধ্য হিসাব আছে আমার নিকট। তিনি বলেন হাটিহাটি পা পা করে সামান্য কিছু টাকা আয় করেও আমার থাকার নিজ বাড়িটি এখনো সম্পুর্ন করতে পারিনি। হা আমি শৌখিন মানুষ হিসাবে একটি লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেম্বার করেছি। এটাই আমার কাল, চেম্বার করার পর থেকে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে একটি কুচক্রি মহল। তিনি আরো বলেন, আমার নিকট দুর্নীতি দমন কমিশন আসুক, গোয়েন্দা সংস্থা আসুক আমি তাদের কে আমার আয় দেখাতে চাই। তিনি অপ্রচারকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমি সৎ আছি, যারা অসৎ তারাই আমার র্যালীকে ভয় পেয়ে অপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।