নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর সাথে হঠাৎ করেই পাশের জেলাগুলোর সাথে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প যানবাহনের সাহায্য নিতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে করে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকাও।
অপরদিকে, পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন- বগুড়ায় একজন শ্রমিক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে এমন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তারা দাবি করছেন- এটি তাদের পর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিলো।
তবে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন- আজ মঙ্গরবার তাদের বিভাগীয় সমাবেশ। তাই সোমবার থেকে কোন ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেনো নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে না আসতে পারে।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন- বগুড়ায় মোহন ও তার সহযোগিরা হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে। এনিয়ে গত মাসের ১৪ তারিখে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। ওই প্রতিবাদ সমাবেশে ধর্মঘট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘট কর্মসূচির আগে করতাম। তবে ২৮ তারিখে নির্বাচন থাকা কোন ধর্মঘট কর্মসূচিতে যায়নি। নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা ধর্মঘট করেছি।
আমরা শুনতে পারছি। বিএনপির একটি সমাবেশ আছে। বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সমাবেশের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। দূরপাল্লার গাড়িগুলোও বন্ধ রয়েছে। যদি মোহন ও তার সহযোগিদের আটক না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো। সমাবেশের সাথে গাড়ি বন্ধের কোন সম্পর্ক নাই। যদি তাই থাকতো তাহলে দূরপাল্লার গাড়িগুলো বন্ধ থাকতো না।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।