হারুনুর রশিদঃ পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি চলছে মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল-চালকদের। রাজশাহী শিরোইল বাসটার্মিনালসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল)সকাল থেকেই শত শত যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এই অপেক্ষমাণ যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার মতো দূরপাল্লার বাস নেই। তাই তারা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে উঠছেন প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসে। তবে, এসব বাহনকে যাত্রী বহন করতে দেখলেই পুলিশ জরিমানা করছে। আর এই জরিমানা এড়ানোর জন্য চালকরা নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হয়েই যাত্রী তুলছেন গাড়িতে।
মঙ্গলবার রাজশাহী নগরী ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যক্তিগত পরিবহনে এখন যাত্রী পরিবহন করছেন চালকরা। আর পুলিশ সদস্যরাও এই অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। রাজশাহী শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে কোনো ব্যক্তিগত পরিবহনে যাত্রী নিতে দিচ্ছেন না তারা। ড্রাইভাররাও কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন। তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টার্মিনাল থেকে একটু দূরে গিয়ে যাত্রী তুলছেন। কারণ এপার থেকে যাত্রী তুললেই তিন হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
কথা হয় প্রাইভেটকারচালক হাসান ও রায়হানের সাথে। । তারা বলেন, ‘করোনার কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় আমরা রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রী আনা নেওয়া করছি। কিন্তু পুলিশ নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ঝামেলা করছে। মামলা দিচ্ছে। লকডাউনে সব বন্ধ থাকবে। কিভাবে সংসার চালাবো, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। তাই কঠোর লকডাউনের আগে একটু ইনকাম করে নিচ্ছি। গত কয়েকদিনে ভালোই টাকা রোজগার হয়েছে। আসলে আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, সরকারের সব নির্দেশনা মেনে চললে খেতে পারবো না। তাই কিছু নির্দেশনা না চাইলেও ভাঙতে হচ্ছে। তাই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্য জায়গা থেকে যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।
টার্মিনাল পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির জানায়, ‘সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা যারাই সামনে পড়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, গাড়ি লুকিয়ে রেখে টার্মিনাল এলাকা থেকে যাত্রী বহনের দায়ে একজনকে মামলাও দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রাইভেটকারকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তরপরও কিছু কিছু মানুষ লুকোচুরি করে বের হয়ে যাচ্ছে।’