রাজশাহীতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জেলা যুবলীগ সভাপতির হামলায় হাসপাতালজুড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃসিরিয়াল দিতে দেরি হওয়ায় দলবলসহ রাজশাহী নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ’র বিরুদ্ধে। বিষয়টি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেনের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটেছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারঘাট এলাকার এক রোগীকে দেখানোর জন্য লক্ষ্মীপুর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেনের চেম্বারে পাঠান। এজন্য যুবলীগ নেতা সালেহ চিকিৎসককে ফোনও দেন। ফোন করে চিকিৎসক বেলাল হোসেন কয়েক মিনিট অপেক্ষার জন্য তাকে অনুরোধ করেন।

ইফতারির ঠিক আগমুহূর্তে জেলা যুবলীগ সভাপতি ১৪-১৫ সহযোগী নিয়ে নিজেই পপুলারে ডা. বেলাল হোসেনের চেম্বারে যান। তার রোগীকে কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে জানতে চেয়ে নিজেই চেম্বারের বাইরে সিরিয়ালের দায়িত্বে নিয়োজিত চিকিৎসকের কর্মচারী শিমুলকে (৩৪) লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন আবু সালেহ। একপর্যায়ে শিমুল মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে অন্য কর্মচারীরা তাকে রক্ষা করতে ছুটে আসেন। যুবলীগ নেতার সহযোগীরা তাদেরও লাথি কিলঘুষি মারতে থাকেন।

একপর্যায়ে সালেহ বাইরে থেকে চিকিৎসকের চেম্বারের দরজায় লাথি মারতে থাকেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। কিছুক্ষণ পর সালেহ তার সহযোগীদের নিয়ে পপুলারের ম্যানেজার শামীম হোসেনের চেম্বারে গিয়ে সেখানেও ভাঙচুর চালান।

এসময় ম্যানেজার চেম্বারে না থাকায় তার দুই কর্মচারীকে মারধর করেন সালেহ ও তার লোকজন। ২৫ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে সহযোগীদের নিয়ে ফিরে যান সালেহ।

এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার শামীম হোসেন জানান, যুবলীগ নেতার তাণ্ডবের সময় পুরো হাসপাতালজুড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর আহত শিমুলসহ পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রাজশাহীর মেয়রকে আমরা জানিয়ে বিচার দাবি করেছি।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেন বুধবার দুপুরে বলেন, এত বড় একজন ছাত্রনেতা নিজেই এমন একটা হামলার ঘটনা ঘটাল এটা ভাবা যায় না। তিনি বলেন, তার সুপারিশ করা রোগীকে আগে কয়েকবার দেখা হয়েছে। চেম্বারের ভেতরে কয়েকজন শিশু রোগী থাকায় যুবলীগ নেতার রোগীকে মাত্র ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। হামলার সময় তার রোগী চেম্বারের ভেতরে ছিলেন। এরইমধ্যে উনি দলবল নিয়ে ক্লিনিকে এসে পড়েন এবং এসব তুলকালাম কাণ্ড ঘটান।

এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহর মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রাজশাহী রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Next Post

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ণ চিকিৎসকে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধ মে ২২ , ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ণ চিকিৎসকে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ডা. রবিন হাসান নামে ওই ইন্টার্ণ চিকিৎস […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links