নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে দুইটি ফ্লাইওভারে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মেহেরচন্ডি এলাকার ফ্লাইওভারের কাজ ৫০ এবং বুধপাড়া এলাকার ৮০ শতাংশ মিলে গড়ে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে দুই ফ্লাইওভারে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফ্লাইওভারে সংযোগ সড়ক হিসেবে রাস্তার কাজ ৭০ শতাংশ শেষে করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর ‘রিথিন এন্টারপ্রাইজ’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে যানজট নিরসনে চার লেনের সড়ক ও দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। যা রাজশাহীতে এই প্রথম। বুধপাড়া এলাকায় ফ্লাইওভারের কাজ করছে ডেনকো লিমিটেড। ডেনকো’র প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম বলেন, ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুধু ১২টি গার্ডার বাকি আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।
অন্যদিকে, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার দেওয়ান মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। ফ্লাইওভারের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রেললাইনের দু’পাশে মোট ১২টি পিলারের মধ্যে সাতটি সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক মাস বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়া ৭০ শতাংশ রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। শুধু রেললাইনের দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সপুরার আলিফ-লাম-মিম ভাটা এলাকা থেকে বুধপাড়া ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া সড়কটির বেশির ভাগ পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষে হয়েছে। এছাড়া মধ্য বুধপাড়া রাস্তা ইটের কার্পেটিঙের কাজ শেষ- ফ্লাইওভারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
সংযোগ রাস্তার কাজের বিষয়ে ‘রিথিন এন্টারপ্রাইজ’ এর কর্ণধার তৌরিদ-আল-মাসুদ রনি বলেন, ৭০ শতাংশ পিচ ঢালাই কাজ শেষে হয়েছে। সিটি মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঐকান্তিক উদ্যোগে নগরীর বড় উন্নয়নমূলক কাজগুলো সফলভাবে এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে শুধু সংযোগ দেয়া হবে। অতিদ্রুতই কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কাটাখালীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে নাটোর রোড (রুয়েট) থেকে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৯ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
এভি-১