আভা ডেস্কঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী পাটি সাপটা পিঠাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি এবং ব্র্যান্ডিং করার ব্যাপারে কাজ করবো। আগামীতে যাতে রাজশাহীতে প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে পিঠা উৎসব আয়োজন হয়, তাতে সহযোগিতা করবো।
আজ সোমবার বিকালে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় ‘বাঙালির ঐতিহ্য পিঠা পার্বণ’ শিরোনামে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য মানে পিঠা পার্বণ। এই ঐহিত্য যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্যই এই উৎসবের আয়োজন। এই আয়োজন অনেক সুন্দর হয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সংস্কৃতিমনা মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সহযোগিতার কারণে। যার পিতার নাম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, সেই পিতার সন্তান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের হাতেই অবশ্যই রাজশাহীর উন্নয়ন হবে। মাঝে ৫টা বছর লিটন মেয়র না থাকায় রাজশাহীর অনেক ক্ষতি হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী।
উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য পিঠা পার্বণ। পিঠা মানে বাঙালি, বাঙালি মানে পিঠা পার্বণ। পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে মুজিববর্ষের প্রাক্কালে এই উৎসবের আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রাজশাহীর নারীরা অনেক দূর এগিয়েছে। তারা এখন অনেক কিছুতেই পারদর্শী। রাজশাহীর পিঠার দিকে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে পিঠাকে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা যায়।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব কামার উল্লাহ সরকার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পিঠা উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪টি স্টল বসেছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।