নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীতে গলায় ফাঁস দিয়ে বাবর আলী (২৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবি হত্যার পর পরিকল্পিত ভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে পর্দার পাইপের সাথে তাকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত রবিবার সকাল ১০ টার দিকে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ড চন্দ্রিমা থানাধিন ছোট বনগ্রাম এলাকার বহরজান আলীর বাসায় এঘটনা ঘটে। বাবর আলী ও সাগর একই বিল্ডিং এর নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় নিহত বাবর আলীর পাশের রুমের ভাড়াটিয়া সাগর ও তার স্ত্রী পায়েল পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃত বাবর আলী হাজরাপুকুর রেলওয়ে বস্তি এলাকার মৃত শেরু মাস্তানের ছেলে।
যুবকের উচ্চতা ছয় ফিট। আবার যেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে, সে স্থানটি’র উচ্চতা নিচ থেকে প্রায় ৫ ফিট ।
স্থানীয়রা জানায়, বাবর আলীর আগের একটি স্ত্রী আছে, পরে হাজরাপুকুর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী বাবুর মেয়ে জোসনাকে দ্বিতীয় বিবাহ করে সে।
বাবরের স্ত্রী জোসনা জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মোবাইল রিচার্জের জন্য বাইরে যায়। পরে বাসায় এসে দেখে ভেতর থেকে দরজা লাগানো। তার ছেলে সোহাগ জানালা দিয়ে দেখে বাবর আলী পর্দার পাইপের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। এসময় তার পাশের রুমে থাকা সাগর (২৫) ও তার স্ত্রী পায়েল বাসায় ছিলো বলে জানায় সোহাগ। পরে তাদের চিৎকারে সাগর পাশের রুম থেকে বের হয়ে বাবর আলীকে নিচে নামায়।
এদিকে স্থানীয়রা বলছে, বাবর আলী যে পাইপের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে পাইপ একটি ছিলো হালকা। যেটাতে মৃত্যের ওজন নেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া তার উচ্চতা সাড়ে ৫ ফিট। আর বাবর আলীর উচ্চতা প্রায় ৬ ফিটের কাছাকাছি। এনিয়ে আছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এবিষয়ে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মনির বলেন, নিহত বাবর আলীর লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কছে হস্তান্তর করা হবে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা ।