আভা ডেস্কঃ রাজশাহীতে বিভাগীয় পুলিশ লাইন হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার টিকা প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে কনস্টেবল ফিরোজ কবির প্রথম টিকা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ও কাঙ্খিত এ দিনটি আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। করোনা নিয়ে যে উদ্বিগ্নতা ছিল, তা দরীভূত হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সচেতনতা সৃষ্টিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা করোনা পরিস্থিতি ভালোভাবে মোকাবেলা করছি। প্রথম দিকেই করোনার ভ্যাকসিনও পেয়েছি।
মেয়র আরো বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানের অগ্রাধিকার তালিকা করা হয়েছে। সরকার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ রেখেছে। ভ্যাকসিন প্রদানে কোনও অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে না। সরকার বিনামূল্যে নাগরিককে ভ্যাকসিন প্রদান করছে। সরকারের মহতি এ উদ্যোগীর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
মেয়র আরো বলেন, প্রথম দিকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নানা অপপ্রচার হয়েছে। এখন সম্মুখসারীর ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন গ্রহণের মধ্য দিয়ে সেটি কেটে যাবে। দিন যত যাবে, মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের আগ্রহও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার মানুষের জন্য প্রায় ৩১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে আরো ভ্যাকসিন সরকারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার উন্নত দেশের ন্যায় ভ্যাকসিন দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভয়ভীতি দুর করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সুজায়েত ইসলাম। আরো বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। এ সময় আরএমপি‘র উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. রাশীদুল হাসান, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহীতে উপজেলা পর্যায়ে ১০টি কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ উপজেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এর বাইরে গোদাগাড়ী উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও গোদাগাড়ী ৩১ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রথমদিন টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কম থাকার কারণে সীমিত আকারে বুথ আছে। তবে পযার্য়ক্রমে চাপ বাড়ার সাথে সাথে বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। প্রথম ধাপে রাজশাহীর ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব। আপাতত যারা অ্যাপে নাম নিবন্ধন করেছিলেন তাদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।’ এই মূহুর্তে ১৫টি ক্যাটাগরির নাগরকিরদের টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।