নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ঐতিহাসিক বাবলা বন গণহত্যা দিবস। দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় বাবলাবন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহীতে স্বাধীনতাকামী সতের জনকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিজয়ের পরপর ৩১ ডিসেম্বর পদ্মাচর শ্রীরামপুর বাবলাবন এলাকা থেকে তাদের দঁড়িতে বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
দিবসটি স্মরণে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় বাবলাবন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেল ৪টায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে স্মরণ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল।
বিকেলের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সাইদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সালেহ মো. ফাত্তাহ,জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহঃ সভাপতি শামসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, নির্বাহী সদস্য শাহিন সাগর, রাজন, জুয়েল আহম্মেদ, আমানউল্লাহ আমান, রাকিবুল হাসান শুভ, শিমুল, আইয়ুব আলী তালুকদার, প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহীতে স্বাধীনতাকামী সতের জনকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিজয়ের পরপর ৩১ ডিসেম্বর পদ্মাচর শ্রীরামপুর বাবলাবন এলাকা থেকে তাদের দঁড়িতে বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি নেই এ দিবস পালনে। যে কারণে প্রকৃত ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এছাড়া একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটুক্তি করছে তারা। দেশে থাকার কোনো অধিকার নেই তাদের। এছাড়া এ ধরণের দু:সাহকারীরা ছাড়াও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত।