নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘ধর্ম নিরপেক্ষ মানবিক সমাজ গড়ে তুলুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ রোববার জেলা ও নগর কমিটির আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত করা হয়।
এর মধ্যে সকাল আটটায় শহিদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। বিকেল চারটায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শহিদ জননী জাহানারা ইমামের যে আন্দোলন, এই আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের একটি পর্যায় শেষ হয়েছে। আমরা এখন মুজিববর্ষ পালন করছি। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। আগামি বছর আমরা স্বাধীনতার ৫০তম বছর পালন করা হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ‘এই সময়ে আমরা দাবি রাখি সরকারের কাছে যেন ৭২ এর সংবিধানকে পুনঃবর্তন করে কোনোরকম খন্ডিত না করে এবং বাংলাদেশে এই উন্নয়নের সময়ে নানানভাবে মানুষের মুক্তবুদ্ধিকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠি। তারা জামাত-শিবির, তারা যুদ্ধাপরাধী। আমরা চাই সরকার আরো ভালোভাবে এই বিষটি যেন নজর রাখে।
মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহানের আহ্বানে সভায় সদস্য সংগ্রহ ও সাংগঠনিক মাস উদ্বোধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের আহ্বায়ক লতিফুর রহমান চঞ্চল, নগর নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক সুজিত সরকার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক, স্টুডেন্ট ফ্রন্ট নেতা সহিমা খাতুন, মহিউদ্দিন মিঠু, শাহ আলম বাদশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নতুন বছরে এবার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।