নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শুরু হয়। রোববার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গননা শুরু হয়।
রাজশাহীর পবা-মোহনপুর ইউপি নির্বাচন ১২৫ টি কেন্দ্রে আনন্দমূখর পরিবেশে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গননা শুরু হয়। পবা উপজেলার ৭টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৭টি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে ৫৫টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৩টি কেন্দ্র ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলো নির্বাচন কমিশন। অপরদিকে, মোহনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৬টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছিলো উপজেলা নির্বাচন অফিস। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
প্রসঙ্গত, অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি কেন্দ্রে।
দুই উপজেলার মধ্যে মোহনপুরের পারিলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন না। কেন্দ্রটিতে নৌকার এজেন্টরা ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দেওয়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বাকশিমইল ইউনিয়নের করিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে একজন আইনজীবী হাঁসুয়া হাতে নিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দায়িত্বরত একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই আইনজীবীকে আটক করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানোয়ার হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক ব্যক্তির সাজা হবে। পারিলাডাঙ্গা কেন্দ্রের বিষয়ে ইউএনও বলেন, এ রকম খবর তিনিও পেয়েছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের বড়কুঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা বেছে বেছে কেন্দ্রে ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সেখানে অভিযান চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া দিলে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ ছাড়া দুই উপজেলার এই তিন কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। দুই উপজেলার আরও বেশকিছু কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ ভোট দেখা গেছে। সকালে কেন্দ্রগুলোতে নারীদের উপস্থিতি একটু কম ছিল। এরপর সারাদিন পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ভিড় দেখা গেছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভোট দিয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত জানা গেছে মোহনপুর উপজেলায় বেসরকারি ফলা ফলে ৬ ইউপিতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় হয়েছে।
পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চার জন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) হিসেবে তিন জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে হরিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী মনোনীত নৌকার প্রার্থী আগেই বিজয়ী হয়েছে।