রাজশাহীতে আবারো সেই ক্ষমতাধর অফিস উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে লাইসেন্সের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে এবার লাইসেন্স তৈরীর টাকা আত্নসাতের সহ ভূক্তভুগিকে দেখে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহমুখদুম থানাধীন খলিলের মোড়ের আবুল কাশেমের একটি স্টিলের দোকান আছে । সেই দোকানের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স তৈরী করার নিমিত্তে কলকারখানা অধিদপ্তরে যায় আবুল কাশেম । সেখানে গেলে দপ্তরটির সামনে থাকা পূর্বপরিচিত হাফিজা নামের একটি মেয়ে তাকে লাইসেন্স করতে সহযোগীতা করবে মর্মে অফিসে উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানের নিকট নিয়ে যায় । উচ্চমান সহকারী কাগজপত্রসহ ৫ হাজার টাকা হাফিজার হাতে দিয়ে চলে যেতে বলেন ভুক্তভুগিকে । ভুক্তভুগি দীর্ঘ ৬ মাস ঘুরেও পাইনি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স । এরমধ্যেই লাইসেন্স না থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালত সমন ইস্যু করেন । সমন পাওয়ার পর আবুল কাশেম দপ্তরটির উচ্চমান সহকারীর নিকট লাইসেন্স বাবদ প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে মারমুখি আচারণ সহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন খায়রুজ্জামান। এমনকি টাকা দেওয়ার প্রমাণ চায় খায়রুজ্জামান।

অভিযোগ করে আবুল কাশেম বলেন, হাফিজা আমার বাড়িতে ভাড়া ছিল, তাই আমি তাকে চিনি বলেই তার কথামত লাইসেন্স বাবদ টাকা প্রদান করি। কিন্তু তারা আমাকে লাইসেন্স না করে দিয়ে দুই জনে টাকাটা আত্নস্বাৎ করেন ।

তিনি আরও বলে পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, অফিসের উচ্চমান সহকারি খায়রুজ্জামান ও হাফিজা মিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের লাইসেন্স করার কথা বলে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামান ও ডি আই জি মাহাফুজুর রহমান মিলে নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি করে সরকারের টাকা লুটপাট করছেন । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে । কিন্তু সংবাদ প্রকাশ হলেও অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ।

অভিযোগ আছে দিনের বেলায় অফিস করেন না উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামান । এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স বাবদ টাকা সংগ্রহ ও ডি আই জির নামে মাসিক মাসোহারা তোলার কাজে ব্যস্ত থাকেন । দিনের বেলায় অফিস না করলেও রাতের বেলায় হাফিজাসহ ডি আই জি ও খায়রুজ্জামান অফিস করেন । এ সময় তারা অফিসের নিয়মবহিভূত কাজকর্মগুলো সারেন বলেও অভিযোগ আছে ।

ভুয়া ভাউচার তৈরী সহ মাসিক মাসোহারার টাকা ভাগভাটোয়ার হয় রাতের বেলায় ।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অফিসটির উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামানে সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঐ ব্যাক্তির নিকট থেকে টাকা নেইনি । হাফিজাকে টাকা দিয়েছে কিনা আমি জানি না ।

Next Post

সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ।

শুক্র অক্টো. ১৬ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের জনগণকে খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links