রাজধানীর বাজার গুলোতে মসলার দাম চড়া।

আভা ডেস্ক:

ঈদুল আজহার দেড় সপ্তাহ আগেই রাজধানীর বাজারগুলোতে মসলার দাম চড়া হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে দারুচিনি, এলাচের দাম বেশি বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে বেড়ে যায় মসলার দাম। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

কোরবানির ঈদ মানেই মাংস। আর মাংস রান্নায় প্রধান উপকরণ মসলা। এ জন্য ঈদুল আজহার আগে মসলার চাহিদা অনেক বেশি থাকায় এই সুযোগে সক্রিয় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা রাজধানীর বাজারগুলোতে মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও ঈদের আগে বেড়েছে মসলার দাম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই ঈদুল আজহার আগে মাংসে ব্যবহৃত মসলার দাম বাড়ে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চাহিদা, পণ্য খালাসে বিলম্ব, ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে মসলার বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। ফলে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের পর সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। ঈদের আগে কেজি প্রতি (মান ভেদে) এলাচের দাম ছিল ১৭৫০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা। বর্তমানে কেজি প্রতি তা বিক্রি হচ্ছে ১৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। ঈদের আগে দারুচিনির দাম ছিল কেজি ২৬৮ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা, প্রতি কেজি জয়ফল বিক্রি হয়েছিল ৫৫০ টাকা, বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লবঙ্গ মান ভেদে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা জিরার কেজি ছিল ২৮৩ থেকে ২৯৭ টাকা। বর্তমানে এর কেজি ৩৩৫ টাকা। সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার কেজি ছিল ৩৯০ টাকা, বর্তমানে কেজি ৪৫০ টাকা ও চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকা। আর ১১০ টাকা কেজির মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গোলমরিচ কেজি প্রতি (কালো) ৯৫০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ১২০০ টাকা, জয়ত্রী ২১০০, ধনিয়া ১০০ থেকে ১২০, ভারতীয় হলুদ ২১৫, ভারতীয় মরিচ ১৫০, দেশি শুকনা মরিচ ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরার পাইকারী মসলা ব্যবসায়ী ও কোয়ালিটি স্টোরের বিক্রেতা নয়ন বলেন, দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয় বলে এসব মসলার চাহিদা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বহুগুণ বেড়ে যায়। চাহিদা বাড়লেও আমাদের আমদানিকারক কিন্তু বাড়ে না। ফলে ব্যাপক চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অতি মুনাফা লুটে নেয় গুটিকয়েক মুনাফালোভী আমদানিকারকরা। তবে এবার এলাচ ছাড়া অন্য মসলার দাম এখনও খুব বেশি বাড়েনি ।

এদিকে মসলার দাম বাড়েনি, স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে আগের তুলনায় এখন সময় বেশি লাগছে। এখন আমদানিকারকদের অনুমতিপত্র জোগাড়ের মতো নতুন ঝামেলা যোগ হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এখন আমদানি খরচও বেড়েছে। যার প্রভাবে পণ্যের দামও কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে। রাইজিংবিডি

Next Post

ছাগল বেচে দড়ি খালাস, চামড়া ব্যবসা।

রবি আগস্ট ১২ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: কোরবানির পশুর চামড়ার সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত দামে চামড়া বেচা-কেনা করলে ‘ছাগল বেচে দড়ি খালাস’ এমনই বলছেন রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। একটি গরুর চামড়া সাধারণত প্রায় ২৪ ফুট হয়ে থাকে। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ২৪ ফুটে একটি গরুর চামড়া ৩৫ টাকা দরে ৮৪০ টাকা। এতে বিভিন্ন খরচ রয়েছে […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links