রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুর থেকে অপহরণের ৮ দিন পর পুলিশ রাজধানীর আরবান হেলথ কেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার তোশারেফ হোসেন পপির লাশ উদ্ধার করেছে।
১৯ জানুয়ারি রোববার সকালে পুলিশ বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকার নন্দনপুর গ্রামের একটি আখ ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। এরআগে গত ১১ জানুয়ারি নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে তার পরিচিত পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম তাকে অপহরণ করে গুম করেছিল।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রংপুর কোতয়ালী থানায় অপহৃত তোশারফ হোসেন পপির ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলার জের ধরে এবং মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রবিউলকে শুক্রবার রাতে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার দুলাভাই সাইফুল ও তাদের বাসার কাজের ছেলে বিপুলকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তোশারফ হোসেন পপির লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রমতে, গত ১১ জানুয়ারী পুলিশ ট্রেনিংসেন্টারের কনস্টেবল রবিউল ইসলাম ঢাকা থেকে তোশারেফ হোসেন পপিকে ডেকে আনার পর রংপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করে। পরে তোশারেফ হোসেন পপির ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ সদস্য রবিউল সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের জিঙ্গাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তোশারেফ হোসেন পপির লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিশ তোশারেফ হোসেন পপির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে অর্থের লেনদেনের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।