আভা ডেস্কঃ রংপুরের পীরগাছায় দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য সরকারিভাবে পাঁচ হাজার ৫৮০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শীতার্তদের মধ্যে ৪৭০টি বিতরণ করা হয়েছে। দু-এক জায়গায় বিতরণের দাবি করা হলেও হতদরিদ্র শীতার্তদের মধ্যে তা পৌঁছায়নি। বাকিগুলো গুদামে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে কয়েক দিন ধরে হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে শীত জেঁকে বসেছে। গত রবিবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ায় ঠাণ্ডা বেড়েছে। এতে শীতবস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে দুস্থ ও অসহায় মানুষ। বিশেষ করে তিস্তা নদীবেষ্টিত উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।
উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার পীরগাছা উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক মাস আগে পাঁচ হাজার ৫৮০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৯ ইউনিয়নে চার হাজার ১৪০টি বণ্টন করা হয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ৪৪০ পিস কম্বল উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে বরাদ্দ রাখা কম্বলের মধ্যে গত সপ্তাহে ইটাকুমারী ইউনিয়নে আদিবাসীদের জন্য ২৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২২০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। বাকি কম্বল উপজেলা পরিষদের গুদামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রওশন জামিল রবু জানান, ‘শীত বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের অসহায় মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। চরাঞ্চলে হাজার হাজার হতদরিদ্র শীতার্তদের জন্য মাত্র ৪৬০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। বরাদ্দ পাওয়া কম্বল বিতরণের জন্য সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে প্রায় এক মাস আগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যদি চেয়ারম্যানরা কম্বল বিতরণ না করে থাকেন, তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক। তবে উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ কম্বলের মধ্যে কিছু বিতরণ করা হয়েছে।’
কালেরকণ্ঠ