রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুরে কাঁচা বাজারে শাক-সবজির দাম রোজার সময় বেড়েছিল, রোজার পরে তা আর কমেনি। বরং কিছু পণ্যের দাম উল্টো আরো বেড়েছে।
শুক্রবার (২১ মে) সকাল ১০টায় রংপু্র নগরীর সিটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পটল ৫ টাকা, কাঁকরোল ১৫ টাকা ও কচুর লতি কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে।
রসুন-পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ঢেড়স কচুর লতিসহ বেশ কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা অটোরিকশাচালক সুজন মিয়া বলেন, ঈদের পরে হঠাৎ করে তরকারির দাম বেড়েছে। আমরা দিন আনি দিন খাই। তার উপর এই ভরা মৌসুমেও যদি তরকারির দাম বেশি থাকে তাহলে আমরা গরিব মানুষ কিভাবে অল্প আয় দিয়ে বাজার করবো।
সবজি ব্যবসায়ী আজমল জানান, ঈদের আগে কয়েক দিনের বৃষ্টি আর পরবর্তীতে কড়া রোদের কারণে কৃষকের অনেক সবজি ক্ষেতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়াও করোনার কারণে দূর থেকে এসব সবজি ছোট ছোট পরিবহনে করে আনতেও ভাড়া নিচ্ছে বেশি। তাই কিছু কিছু সবজির দাম একটু বাড়তি।
এদিকে মাছের বাজারে সব দেশি মাছসহ সব প্রকারের মাছেই ৩০ থেকে ৭০ টাকা দাম বাড়তি। দেশি শিং মাছের কেজি ৪০০-৫০০ টাকা, মলা মাছের কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছের দাম প্রকারভেদে বাড়লেও মাংসের দাম গরু ৫৫০ ও খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা বাবু জানান, ঈদের পর দেশি মাছের চাহিদা বেশি কিন্তু সেই অনুপাতে আনতে না পারায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাবু বলেন, ঈদের পরে কিছু কিছু সবজি প্রয়োজনের তুলনায় কম তাই হয়তো দাম একটু বাড়তি। তবে সব সবজি বা মাছের দাম যে অনেক গুণ বাড়ছে তা কিন্তু নয়।