আভা ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেনতেনভাবে আয়োজন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সম্প্রতি এলডিপি থেকে পদত্যাগ করা দুই শতাধিক নেতা-কর্মী এতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় গয়েশ্বর বলেন, ‘নির্বাচনে যাব না ঠিক, তবে যেনতেনভাবে নির্বাচন করতেও দেব না।’
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র বাধা বলে মনে করেন বিএনপির এই রাজনীতিক।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনাদের ভয় কী? গণতন্ত্র ফেরত দেন। শ্রীলঙ্কার মতন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মারধর করবে না; বাড়িতে আগুন দেবে না। ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম।’
আন্দোলন চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের শেষ পর্যায়ের ডাক তারেক রহমান দেবেন।’
ওই সময় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জহির উদ্দিন স্বপন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার রাস্তাও শ্রীলঙ্কার কলম্বোর মতো হবে। সেই কলম্বোর রাজপথের মতো ঢাকার রাজপথে ফয়সালা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
এলডিপির একাংশের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী বলেন, ‘কর্নেল অলির কাছ থেকে পদত্যাগ করে যারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার রাস্তা রক্তে রঞ্জিত করতে হবে। তার মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে হবে।’
অশীতিপর এ নেতা বলেন, ‘এ লাঠি হাতে নিয়ে বলছি, হাসিনাকে উৎখাত করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি এই দেশকে একটা সুন্দর দেশ হিসেবে দেখতে চাই।’
অলি আহমদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার গড়া এলডিপি থেকে সরে গেছেন দুই শতাধিক নেতা-কর্মী। তারা আব্দুল করিম আব্বাসীর নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগ দেন।