যেকারনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়লেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন।

আভা ডেস্কঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়লেন বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন। তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে।

ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল না হওয়া ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে সাঈদ খোকনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন সময় ‍বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচিত দক্ষিণের এই মেয়র। তবে মেয়রের দাবি, কর্তব্যে কখনও তিনি অবহেলা করেননি।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত সাঈদ খোকন। তার বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র।

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে গত ২৫ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাকে ‘গুজব’ বলে মন্তব্য করেন মেয়র খোকন।

তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাড়ে তিন লাখ আক্রান্তের যে তথ্য এসেছে সেটি কাল্পনিক তথ্য। এটা সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক, বিভ্রান্তিমূলক। ছেলে ধরা, সাড়ে তিন লাখ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একই সূত্রে গাঁথা।’

মেয়রের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দলের ভেতরে সমালোচনা ঝড় ওঠে।

এছাড়া ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর আজিমপুরের পার্ল হারবাল কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশের পাশেই মেয়র সাঈদ খোকন পাল্টা কর্মসূচি দেন। পরে ওই সমাবেশস্থলের সামনে ট্রাকে করে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার ঘটনায় মেয়রকেই দোষারোপ করা হয়।

ওই ঘটনায় তখন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র খোকনের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় তা নিয়েও দলীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাঈদ খোকন।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর সাঈদ খোকনকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়।

এছাড়া গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন ‘জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য এবং ভোটারদের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন প্রার্থীদের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেয়া হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের এমন ঘোষণার পর মেয়র খোকনের মনোনয়ন নিয়ে নানা কানাঘষা শুরু হয়।

এরপর দলীয় মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত ও কাউন্সিলরদের সমর্থন চূড়ান্ত করতে শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, মাহবুবউল আলম হানিফ, আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

বোর্ড সদস্যরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে মতামত দেন। বৈঠকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের ডাকা হয়। তবে দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিলেও নির্ধারিত সময়ে গণভবনে যাননি। পরে ফোন করে তাকে ডেকে আনা হয়। গণভবনে মঞ্চের পাশে একটি চেয়ারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন তিনি।

পরে তাকে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ডাকা হয়। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এ সময় তার চেহারায় মলিনতা লক্ষ্য করা যায়।

তাই ধারণা করা হচ্ছে, নানা বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণেই মেয়র খোকনকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

যুগান্তর

 

Next Post

দার্জিলিংয়ে হলুদ কমলা চাষ এখন ঝিনাইদহের মহেশপুরে ।

রবি ডিসে. ২৯ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ বাগানে ঢুকতেই অনেক মানুষের ভিড় দেখা গেল। কেউ ঘুরছেন, কেউ আবার সেলফি তুলছেন। আবার কেউ বলছেন, এ যেন দার্জিলিংয়ে কমলা ফলের বাগানে ঘুরতে এসেছেন। গাছে হলুদ কমলা ঝুলে আছে দেখতেই খুব সুন্দর লাগছে। কমলা সাধারণত আমাদের দেশে চাষ খুবই কম। জনশ্রুতি আছে, বাংলাদেশে চাষ করলে কমলা ফল খেতে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links