আভা ডেস্কঃ সর্বোচ্চ আক্রান্ত আর মৃত্যুর পরও যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ঝড় যেন থামছেই না। চলমান টিকা কার্যক্রমের মাঝেই নতুন করে দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরপরও দেশটিতে অনেকের মধ্যেই টিকাগ্রহণে অনীহা রয়েছে। মিশিগান হেলথ অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঙ্গরাজ্যে এখন সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস শনাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। গত মাসের থেকে যা ৮৮ শতাংশ বেশি। মিশিগানের স্পারো হেলথ সিস্টেমের সিইও জিম ডোভার বলেছেন, ‘হাসপাতালগুলোতে আমাদের রোগীর সংখ্যা যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। যত মানুষকে আমরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে দেখছি, এর আগে কখনও এমনটা দেখিনি।’ ডোভার জানান, চলতি বছর জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮৯ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই করোনাভাইরাস প্রতিষেধক দেয়নি। খুব কমসংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি যারা প্রতিষেধক দেয়া ছিলেন, তারাও ছয় মাসের মধ্যে কোনো ডোজ দেননি। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা ২০ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবী সেফটন জানিয়েছেন, নতুন করোনাভাইরাসে শনাক্ত ব্যক্তিদের মাঝে উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ করেছেন। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি বয়সে একেবারে তরুণ।
করোনার নতুন এ পরিস্থিতি শুধু মিশিগানে নয়, অনেকটা দেশজুড়েই।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার প্রবণতা গত মাসের থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে একমাত্র উপায় টিকা নেয়া। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ নাগরিক টিকা নিয়েছেন। স্পারো হাসপাতালের নার্স ড্যানিয়েল উইলিয়ামস জানান, হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগীই প্রতিষেধক নেননি। এখন তারা আফসোস করছেন। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে তাদের ছিল সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন। কিন্তু এখন তারা হাসপাতালে। মুখে মাস্ক দিয়ে আছেন, চোখে অশ্রুবিন্দু। বেঁচে যাবেন নাকি মারা যাবেন, এই নিয়েই তারা সন্দিহান। ডোভার বলেছেন, ‘যদি এই জটিল পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করতে চান, তাহলে এখনই টিকা গ্রহণ করুন। এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়; আমাদের সবাইকে ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।’ টিকা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ডোভার তার কন্যাসন্তানের উদাহরণ দেন। তার সন্তান এরই মধ্যে দুবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরপরও সে ভ্যাক্সিন নিয়েছে। কারণ একবার শনাক্ত হলেই যে আর হবে না, বিষয়টা এমন নয়।
ডোভার বলেন, যারা ভ্যাক্সিন নিতে ইচ্ছুক নয়। তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে জটিল আকার ধারণ করছে, তা বুঝতে পারছেন না। তখনই তারা বুঝতে পারবেন, যখন হাসপাতালে জায়গার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮ লাখের অধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে আরও ১ হাজার ৫৭৪ জন।
শনি ডিসে. ১১ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ ‘যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় এবং অন্যদের ওপর তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একপেশে এবং অকার্যকর’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) শরৎকালীন নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন। গত শুক্রবার বিশ্ব […]
এই রকম আরও খবর
-
২৯ মে, ২০২০, ৩:০৬ পূর্বাহ্ন
-
২২ মার্চ, ২০২১, ১০:০৪ অপরাহ্ন
-
৬ জুলাই, ২০২০, ৬:২৭ অপরাহ্ন
-
২৭ মার্চ, ২০২১, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
-
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:১৪ পূর্বাহ্ন
-
২২ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৯ অপরাহ্ন