আভা ডেস্কঃ বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বিশেষ করে, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এ বিষয়ে আরো বেশি আলোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তারকাসন্তানরা।
অভিনেতা চাংকি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে। গত বছর ‘স্টুডেন্ট অব দি ইয়ার-টু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। স্বজনপ্রীতি বিতর্কে চাংকি কন্যাকেও নানা বিদ্রূপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
সম্প্র্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেয়ের সিনেমায় নাম লেখানো প্রসঙ্গে চাংকি পান্ডে বলেন, ‘আমার মেয়ে সিনেমায় অভিনয় করছে, এটি তার নিজস্ব অর্জন। তাকে জোর করিনি। আমি নিজেও চিকিৎসক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। আমার বাবা একজন প্রসিদ্ধ হার্ট সার্জন এবং মা চিকিৎসক ছিলেন। বলতে অসুবিধা নেই, আমিও অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সফল হতে পারিনি। এরপর অভিনয়ে এসেছি। পেশা বাছাইয়ের বিষয়টি এখন সন্তানরাই নির্ধারণ করে। আমি শুধু এখন তাদের সফলতার জন্য প্রার্থনা করতে পারি।
এই অভিনেতা জানান, মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে যখন বিদ্রূপ করা হয় বাবা হিসেবে কষ্ট পান। চাংকি পান্ডে বলেন, ‘অবশ্যই এটি দুঃখের বিষয়। যখন আমি সিনেমা জগতে এলাম বলা হয়েছিল, কারো সুপারিশে সিনেমা পেয়েছি। আমার মনে আছে, ওই সময় এটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো মেনে নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে। এটি নিয়ে বিতর্কে জড়ানোর প্রয়োজন মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে অনেক কিছু করতে হতো— পোর্টফোলিও তৈরি, সেগুলো পরিচালক ও প্রযোজকদের সঙ্গে দেখানো। আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল। কোনো কাস্টিং ডিরেকটর ছিল না। কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে যেতে হতো। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বিখ্যাত হয়ে সিনেমায় সুযোগ পাওয়া যায়। যারা অভিনয় পেশায় আসতে চায় তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি সময়।