মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আভা ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

২৩৫ পৃষ্ঠার রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা- গণহত্যার ওই তিন অভিযোগেই মাহবুবুরকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

৭০ বছর বয়সী আসামি মাহবুবুর একাত্তরে টাঙ্গাইলে মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। মাহবুবুর ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।

এর আগে বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন ধার্য করেন।

এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা- গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় মাহবুবের বিরুদ্ধে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম।

এর আগে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রানা দাশগুপ্ত বলেছিলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। আমরা মনে করি তিনটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৩ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি, তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি।

গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

১১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ আমলে নেয়ার পর ২৮ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এক বছরের বেশি সময় পর বুধবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

যুগান্তর

Next Post

অবশেষে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ সেই চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ওএসডি করা হয়েছে।

বৃহস্পতি জুন ২৭ , ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ সেই চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ওএসডি করা হয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে তাকে বদলি করে শিক্ষা অধিপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা অধিপ্তরের এক পরিপত্রের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links